এ বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ও সর্বোচ্চ দুই হাজার ৬৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা ও সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা ছিল।
রোববার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে ১৪৪৪ হিজরি সনের সাদাকাতুল ফিতরের (ফিতরা) এ হার নির্ধারণ করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
ইসলামি শরিয়াহ মতে, আটা, যব, কিসমিস, খেঁজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যের যেকোনো একটি দিয়ে ফিতরা দেয়া যায়।
সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে এক সা’ বা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা দিতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৩৯৬ টাকা, কিসমিস দিয়ে আদায় করলে এক সা‘ বা দিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ৬৫০ টাকা, খেঁজুর দিয়ে আদায় করলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ১,৯৮০ টাকা ও পনির দিয়ে আদায় করলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৬৪০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেঁজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ওই পণ্যগুলোর যেকোনো একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবে।
পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। তাই স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।