রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়বাহ আগুনে ছয়টি মার্কেটের পাঁচ থেকে ছয় হাজার দোকান পুড়ে গেছে। দোকান মালিকসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার পরিবারের সদস্যরা ক্ষতিগস্ত হয়েছে।
বঙ্গবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও এনেক্সকো টাওয়ারের পরিচালক জহিরুল ইসলাম এমনটা দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষ এ মাসে মালিকরা মালামাল রির্জাভ করে রেখে ছিল ব্যবসায়ীরা। সবার স্বপ্ন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সব শেষ হয়ে গেলো।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কোনো অবস্থা নেই। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ কর্মরত ছিলেন। ঈদের আগে সব দোকানে মালামাল তোলা হয়েছিল। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখন বলা যাবে না।’
এর আগে আজ ভোর ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ভোর ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৬টা ১২ মিনিটে। পর্যায়ক্রমে একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। ৫১টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।
এদিকে বঙ্গবাজারের আগুন ছড়িয়ে পড়ে মহানগর শপিং কমপ্লেক্সে। সেই আগুনে পুড়েছে হেড কোয়ার্টারের ভেতরের চারতলা পুলিশ ব্যারাক ভবন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার জানান, পুলিশ হেড কোয়ার্টারের ভেতর পুলিশ ব্যারাকের চারতলা ভবনে আগুন লেগেছে। এতে ওই ভবনের সবকটি কক্ষ পুড়ে গেছে। ১১টা ১৫ মিনিটে জলকামান এসেছে। ফায়ার সার্ভিস পানি দিয়েছে। ভবনটি মহানগর শপিং কমপ্লেক্স লাগোয়া।
প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টায় কয়েকটি মার্কেটের কয়েক হাজার দোকান পুড়িয়ে নিয়ন্ত্রণে আসে বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মাইন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।