পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ২৯ ও ৩০ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হলো ২৫তম স্প্যান। এই স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ৩ হাজার ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো।
আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে স্প্যানটি বসানোর খবর নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল করিম মুরাদ। তিনি জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি ক্রেনে করে জাজিরা প্রান্তের দিকে রওনা দেয়। বেলা ১১টার দিকে জাজিরা প্রান্তের ২৯ ও ৩০ নম্বর পিলারের কাছে পৌঁছালে স্প্যানটি খুঁটির ওপর উঠানোর কাজ প্রান্তের করে সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পরে বিকেল ৩টার দিকে স্প্যানটি খুঁটির ওপর বসানোর কাজ শেষ হয়।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩২ ও ৩৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ২১তম স্প্যান, ২৩ জানুয়ারি মাওয়া প্রান্তের ৫ ও ৬ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ২২তম স্প্যান। চলতি মাসের ২ ফেব্রুয়ারি বসেছে ২৩তম স্প্যান। ১১ ফেব্রুয়ারি বসেছে ২৪তম স্প্যান। ২১ ফেব্রুয়ারি ২৫তম স্প্যান বসানো হলো।
পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে পদ্মা সেতুতে সবগুলো স্প্যান বসানো শেষ হয়ে যাবে এবং আগামী বছরের জুলাই মাস নাগাদ সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল করবে। একই সঙ্গে বেশিরভাগ পিলার প্রস্তুত হওয়ার ফলে চলতি বছর প্রতি মাসে তিনটি করে স্প্যান বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে জানুয়ারি মাসে বসেছে দুটি স্প্যান এবং ফেব্রুয়ারি মাসে বসতে যাচ্ছে তিনটি স্প্যান।
পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি। প্রতিটি পিলারে রাখা হয়েছে ছয়টি পাইল। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। এই দূরত্বের লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে। ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। স্প্যানগুলো চীন থেকে তৈরি করে বাংলাদেশে আনা হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল সেতুর নির্মাণ কাজ ৮৫.৫০ শতাংশ এবং নদী শাসনের কাজ ৬৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৬.৫০ শতাংশ।