প্রথম মার্কিন অঙ্গরাজ্য হিসেবে চীনা ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করলো মন্টানা। চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটকের বিরুদ্ধে তথ্য চুরির অভিযোগ এনে একে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। মন্টানার হাউসে এক ভোটে আইনপ্রনেতারা টিকটক নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট দেন। ৫৪ আইনপ্রনেতা ভোট দেন নিষিদ্ধের পক্ষে এবং বিরুদ্ধে দেন ৪৩ জন।
সিএনএন জানিয়েছে, এই বিলটি এখন গভর্নরের কাছে পাঠানো হবে। যদি এই আইনে গভর্নর গ্রেগ জিয়ানফোর্ট সই করে তবে এই নিষেধাজ্ঞা আগামী জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে টিকটক এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া চাইলে ব্যবহারকারীরাও মামলা করতে পারবেন। আইনটি পাশ হলে এই অঙ্গরাজ্যের মধ্যে কোনো ডিভাইস দিয়েই কেউ আর টিকটক ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়া অ্যাপ স্টোরগুলো থেকেও টিকটক সরিয়ে দেয়া হবে।
তথ্যচুরির অভিযোগ তুলে গোটা যুক্তরাষ্ট্রেই টিকটক নিষিদ্ধের দাবি তুলছে কিছু আইনপ্রনেতা। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনাও চলছে।টিকটকের তরফ থেকে সব ধরণের নিশ্চয়তা দেয়ার পরেও নিষিদ্ধের পক্ষে প্রচারণা চলছে। চীন সরকারের নজরদারিতে সহায়তা করার মতো নানা অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে টিকটক। গভর্নরের কাছে পাঠানো বিলে বলা হয়েছে, কেউ যদি মন্টানায় বসে টিকটক ব্যবহার করে তাহলে তাকে দৈনিক ১০ হাজার ডলার করে জরিমানা দিতে হবে। যদি কোনো অ্যাপ স্টোর এই নিয়ম ভঙ্গ করে তাহলে তাদেরকেও জরিমানা করা হবে।
জিয়ানফোর্টের মুখপাত্র ব্রুক স্ট্রোইক বলেছেন, গভর্নর তার ডেস্কে হাউস থেকে পাঠানো যে কোনও বিল সাবধানতার সঙ্গে বিবেচনা করবেন। গত ডিসেম্বরে জিয়ানফোর্ট সরকারি কর্মকর্তাদের ডিভাইস থেকে টিকটক নিষিদ্ধ করেছিলেন। পরের মাসে মন্টানা ইউনিভার্সিটিকেও এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এদিকে এক বিবৃতিতে এই বিলের সমালোচনা করেছে টিকটক। তারা সম্ভাব্য আইনি পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে।
কোম্পানিটির মুখপাত্র ব্রুক ওবারওয়েটার বলেছেন, এই বিলের বৈধতা আদালত থেকেই নির্ধারণ করা হবে। আমরা মন্টানায় টিকটক ব্যবহারকারী এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবো। তাদের জীবিকা এবং বাক স্বাধীনতার অধিকার সরকারের এই পদক্ষেপের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে।