ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য মানুষ রাজধানী ছাড়তে শুরু করায় ঢাকার রাস্তাগুলো ফাঁকা হয়ে পড়েছে।
বেসরকারি সংস্থা নৌ পরিবহন, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ লোক ঢাকা ও আশপাশের এলাকা ছেড়ে চলে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শুক্রবার এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জানানো হয়েছে।
ঈদুল ফিতরের আগে সরকারি, আধা-সরকারি এবং অনেক বেসরকারি অফিসে শেষ কর্মদিবস হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেল থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ শহর ছেড়েছে।
এ বছর বুধবার থেকে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনের ঈদের ছুটি।
এনসিপিএসআরআর-এর তথ্য অনুযায়ী, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ প্রতি বছর তাদের গ্রামের বাড়িতে যান। এর মধ্যে ২০ শতাংশ যাবে নৌপথে এবং ২০ শতাংশ রেলপথে।
এনসিপিএসআরআর-এর সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া বলেন, ঈদের আগে ১৩ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত নয় দিনে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে ঢাকা ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে সদরঘাট টার্মিনাল দিয়ে প্রতিদিন তিন লাখ মানুষ উপকূলীয় জেলায় যাবেন। নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর দিয়ে ঈদের ছুটি কাটাতে যাবে লাখ লাখ মানুষ।
এছাড়া শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ) জানিয়েছে, ঈদে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ সড়কপথে ঢাকা ছাড়বেন, যা মোট ঈদের ছুটির ৬০ শতাংশ।
এদিকে ট্রেনে যাবে আরো প্রায় ৩০ লাখ মানুষ।
ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক পূর্ব) আখের হুসাইন জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত থেকে অনেকে আবদুল্লাহপুর থেকে উত্তর জেলা, ময়মনসিংহ জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অধিকাংশ বাস সময়সূচি অনুযায়ী আব্দুল্লাপুর ছেড়েছে।
মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার (দারুস সালাম জোন) ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, বুধবার ভোরে বাড়িমুখী মানুষের ভিড় শুরু হয় এবং তা রাত ৮টা পর্যন্ত চলে।
তিনি আরো বলেন, গাবতলী থেকে অধিকাংশ বাস প্রায় সময় মতো বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়।
একইভাবে সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ড সূত্র জানায়, বেশিরভাগ বাস চট্টগ্রাম ও সিলেট সড়কের পাশাপাশি অন্যান্য গন্তব্যের জন্য টার্মিনাল রক্ষণাবেক্ষণের সময়সূচিতেই ছেড়েছে।
একইভাবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, সকাল থেকে অধিকাংশ ট্রেন সময়সূচি অনুযায়ী স্টেশন ছেড়েছে।
সূত্র : ইউএনবি