বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০৬ অপরাহ্ন

ইসরাইল ও গাজার মধ্যে যুদ্ধবিরতি

এনবিডি নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩ মে, ২০২৩
  • ৪৭ বার

ইসরাইলি বাহিনী এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি গ্রুপগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। মিসর, কাতার ও জাতিসঙ্ঘ কর্মকর্তাদের মধ্যস্ততায় এই যুদ্ধবিরতি হয় বলে বুধবার জানানো হয়েছে। এর আগে ফিলিস্তিনি নেতা কাদের আদনান অনশন ধর্মঘটে মারা যাওয়ার পর গাজা থেকে রকেট নিক্ষেপ করা হয়। এর জবাবে ইসরাইলি বাহিনী গাজায় বিমান হামলা চালায়। ফিলিস্তিনি নেতারা আদনানের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করেছে।

দুটি সূত্র বুধবার রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে জানায়, বুধবার স্থানীয় সময় ভোর ৩:৩০ (০০.৩০ জিএমটি) যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

হামাস বুধবার সকালে এক বিবৃতিতে জানায়, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য মিসর, কাতার ও জাতিসঙ্ঘ কর্মকর্তাদের আলোচনায় বসে।

হামাস জানায়, তাদের নেতা ইসমাইল হানিয়া উভয় দেশ ও জাতিসঙ্ঘ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ইসরাইলি হামলা বন্ধ করতে বলেন।

হামাস ও ইসলামিক জিহাদ এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, আদনানের মৃত্যুর ‘প্রাথমিক জবাব’ ছিল রকেট নিক্ষেপ। ইসরাইল জানিয়েছে, গাজা থেকে অন্তত ৩০টি রকেট নিক্ষিপ্ত হয়েছিল। এর দুটি গাজার ঠিক পূর্ব দিকে অবস্থিত সদারত নগরীতে পতিত হয়।

আর ইসরাইলি বিমানগুলো গাজার বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলা চালায়।

আদনানের মৃত্যুর প্রতিবাদে পশ্চিম তীরের হেবরন শহরে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। অনেক বিক্ষোভকারী ইসরাইলি সৈন্যদের দিকে পাথর নিক্ষেপ করে। জবাবে ইসরাইলি সৈন্যরা কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা বারঘুইতি বলেন, কাদের আদনানের মৃত্যু ছিল ‘জঘন্য হত্যাকাণ্ড।’ তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি বন্দীদের প্রতিরোধের চেতনা ভাঙার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে।

ইসরাইল প্রায়ই ফিলিস্তিনিদের প্রশাসনিক বন্দী করে রাখে। তারা জানতেও পারে না তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে। তাদেরকে বিনা বিচারে বছরের পর বছর আটক থাকতে হয়। তারা শেষ হাতিয়ার হিসেবেই অনশন ধর্মঘটকে বেছে নেন।

মোস্তফা বলেন, এভাবে আটক রাখা ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি পুরোদস্তুর বিদ্রূপ।’
সূত্র : আল জাজিরা ও অন্যান্য

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com