ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। প্রায় দু’দশকের লম্বা কর্মজীবনে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে চুটিয়ে কাজ করার পর এখন বলিউডেও পরিচিত মুখ তিনি। এত বছরের কর্মজীবনে কখনো পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করেননি এ অভিনেত্রী। তবে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘লাস্ট স্টোরিজ় ২’-এর ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে দেখা গিয়েছে তাকে। তবে কি এত বছরের শপথ শেষমেশ ভাঙলেন তামান্না?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘লাস্ট স্টোরিজ় ২’-এ বাঙালি পরিচালক সুজয় ঘোষের একটি গল্পে অভিনয় করেছেন তামান্না। তার বিপরীতে রয়েছেন তারই চর্চিত প্রেমিক ও বলিউড অভিনেতা বিজয় বর্মা।
সিরিজের প্রচার ঝলকে বিজয়ের সঙ্গেই অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা গিয়েছে তাকে। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এবার ওই দৃশ্য নিয়েই মুখ খুললেন তামান্না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী জানান, ‘লাস্ট স্টোরিজ ২’-এর জন্যই প্রথমবার নিজের ১৮ বছরের প্রতিজ্ঞা ভেঙেছেন তিনি। তামান্না বলেন, ‘আমি আমার এত বছরে কর্মজীবনে কখনো কোনো ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করিনি। আমি হচ্ছি সেই দর্শক, যে পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখে একটু গুটিয়ে যাই। বা আমার মনে হয়, ‘আমি এটা কখনো করব না’। আমি তো এতদিন এই সিদ্ধান্তেই স্থির ছিলাম যে, আমি পর্দায় কোনো চুম্বনদৃশ্যে অভিনয় করব না।’
তবে ‘লাস্ট স্টোরিজ় ২’-এর জন্য সেই শপথ ভেঙেছেন তামান্না। তার কথায়, ‘আমি সবসময় সুজয় ঘোষের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছি। আমি খুশি ও কৃতজ্ঞ যে, সুজয় এই চরিত্রের জন্য আমাকে বেছেছিলেন। এর আগে তো কোনো অন্তরঙ্গ দৃশ্যে আমি অভিনয়ই করিনি। তাই এমন একটা চরিত্রের জন্য আমায় না-ই ভাবতে পারতেন।’ বিজয়ের জন্যই নিজের ১৮ বছরের প্রতিজ্ঞা ভেঙেছেন, তা বরাবরের মতই বেশ পরিস্কার অভিনেত্রীর কথায়।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বিজয়ের সঙ্গে প্রেমে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তামান্না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘বিজয় এমন একজন ব্যক্তি যার সঙ্গে খুব সহজে আমি একাত্ম হতে পেরেছি। যে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে আমার কাছে সমর্পণ করেছে, আমিও তাই করেছি।’
বিজয় তার সুখের ঠিকানা উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আপনি যদি পার্টনার খুঁজতে যান, তাহলে আপনাকে শারীরিকভাবে চলাফেরা করতে হবে অথবা এমন কিছু করতে হবে যাতে সেই মানুষটি বুঝতে পারেন। কিন্তু আমি আমার জন্য একটা পৃথিবী তৈরি করেছি। আমাকে কোনো কিছু করা ছাড়াই আমার সেই দুনিয়া একজন মানুষ সত্যিকার অর্থে বুঝতে পেরেছেন। বিজয় এমন একজন ব্যক্তি, আমি যার যত্ন করি, সে আমার সুখের ঠিকানা।’