যদি বলা হয় বাংলাদেশ দল এখন লাইফ সাপোর্টে, তবে ভুল হবে না। বাঁচা-মরার শেষ লড়াই না হোক, মান বাঁচানোর শেষ লড়াইয়ে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার শঙ্কা বেশ ভালোভাবেই চেপে ধরেছে টাইগারদের, গত নয় বছরে যা কখনো ঘটেনি!
২০১৪ সালে শেষবার দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের তিক্ত স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর এই লজ্জা তো দূর, ইংল্যান্ড ব্যতিত কারো কাছে সিরিজও হারেনি তারা। নয় বছর পর আবারো সেই লজ্জার আশঙ্কায় কাঁপছে টাইগাররা, সেই আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে আফগানিস্তান।
ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২-০ তে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। খুঁইয়েছে সিরিজও। যেখানে হারের চেয়েও চক্ষুশূল হারের ধরণ। ব্যাট হাতে যেন রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে দল। লেগস্পিন জুজু কাঁটাতেই পারছে না। বল হাতেও পেসাররা সেরাটা দিতে পারছেন না। ব্যাটে-বলে একেবারেই নিস্প্রভ একটা সিরিজ কাঁটছে।
দুই ম্যাচের কোনোটাতেই দুই শ’র ঘরে পৌঁছায়নি দলীয় সংগ্রহ। প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৬৯ রান করলে বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে হারে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অলআউট হয় ১৮৯ রানে। ১৪২ রানে জয় পায় আফগানিস্তান।
প্রথম ম্যাচে তাওহীদ হৃদয় আর দ্বিতীয় ম্যাচে মুশফিকের একটি করে ফিফটি ছাড়া ব্যর্থ সবাই। ভিন্ন দুই উদ্বোধনী জুটি মিলেও ভালো ভিত গড়ে দিতে পারেনি কোনো ম্যাচেই। সাকিব আল হাসানের মতো অভিজ্ঞর পাশাপাশি ছন্দে থাকা লিটন-শান্তও ব্যর্থ উভয় ম্যাচে। মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারও পারেনি প্রত্যাশা মেটাতে।
গত ৫ জুলাই বুধবার প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল উভয় দল। মাঝে দুই দিনের বিরতির পর ৮ জুলাই দ্বিতীয় ম্যাচ খেলে তারা। আজ মঙ্গলবার সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। প্রথম দুই ম্যাচের মতে এই খেলাও গড়াবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে, বেলা ২টাতে।