আফগানিস্তানকে স্বল্প রানেই বেঁধে ফেলেছে বাংলাদেশ। শুধু ম্যাচ নয়, সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে টাইগারদের চাই ১১৭ রান। যদিও বৃষ্টির কারণে কমে এসেছে ওভার, খেলা হচ্ছে ১৭ ওভারে। তবে অস্বাভাবিক কিছু না ঘটলে সহজেই লক্ষ্য টপকাবে বাংলাদেশ, আশা করাই যায়।
রোববার সিলেটে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের শুরুর ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফেরেন রাহমানুল্লাহ গুরবাজকে। তাসকিনকে এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ব্যাটে বল লেগে উঠে যায় উপরে, নিজেই ছুটে এসে তালুবন্দি করেন তাসকিন। গুরবাজ ফেরেন ৫ বলে ৮ রান করে। এই উইকেট নিয়ে সাকিব-মুস্তাফিজের পর তৃতীয় বাংলাদেশী বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তাসকিন।
যদিও পরের ওভারে এসে সংখ্যাটা ৫১* করে ফেলেন তিনি। তৃতীয় ওভারে ফের আক্রমণে এসে ফেরান আরেক ওপেনার হজরতুল্লাহ জাজাইকে। তীব্র বেগে আসা বলে তাল সামলাতে পারেননি জাজাই, ব্যাটে বল ছুঁয়ে তাই চলে যায় লিটন দাসের গ্লাভসে। ৫ বলে ৪ করেন তিনি। ৩ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১৬ রান।
অষ্টম ওভারে বল হাতে প্রথমবার আসেন সাকিব। তবে ২ বল করতেই বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। আফগানিস্তানের স্কোর তখন ৭.২ ওভারে ৩৯/২। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বৃষ্টি থামলে কমে আসে ম্যাচের দৈর্ঘ। খেলা গড়ায় ১৭ ওভারে।
এদিকে নবম ওভারে নাসুমের বলে টানা দুটো ক্যাচ মিস করেন লিটন। তবে পরের ওভারের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নিয়ে আক্ষেপ কমান মোস্তাফিজ। নাবিকে সেই লিটনের ক্যাচ বানিয়েই ফেরান তিনি। আগের ম্যাচে অর্ধশতক হাঁকানো নাবি আজ ফেরেন ২২ বলে মাত্র ১৬ রান করে।
ইবরাহীমকে ফেরাতে দেরি করেননি সাকিব, পরের ওভারের প্রথম বলেই আফিফের ক্যাচ বানান তাকে। ২৭ বলে ২২ রান করেন ইবরাহীম। একই ওভারের শেষ বলে সাকিব ফেরান নাজিবুল্লাকে। তার স্ট্যাম্প ভেঙে দেন সাকিব। সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন ৩ বলে ৫ করে। ফলে ১১ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৬৭ রান।
তবে এরপরেই ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। আগের ম্যাচের মতো আজো দাঁড়িয়ে যান ওমরজাই। তাকে সঙ্গ দিতে থাকেন করিম জানাত। ১১ ওভারে ৬৭ থেকে ১৪ ওভারে পূরণ করেন দলীয় শতক। তবে এরপরেই ফের কমে আসে রানের গতি। শেষ ৩ ওভারে আসে মোটে ১৬ রান। রশিদ খান অপরাজিত থাকেন ৩ বলে ৬ রানে।
মাঝে ১৬তম ওবারে ওমরজাইকে ফেরান মোস্তাফিজ, ২১ বলে ২৫ রান আসে তার ব্যাটে। আর শেষ ওভারে এসে করিম জানাতকে ফেরান তাসকিন, ১৫ বলে ২০ করেন তিনি। বল হাতে সাকিব ১৫ রানে ২ উইকেট ও ৩০ রানে ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজ। তাসকিন ৩৩ রানে নেন ৩ উইকেট।
আফগানিস্তানের ইনিংস থামে ১৭ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রানে।