ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সাথে আলোচনার জন্য আগামী শুক্রবার (২৮ জুলাই) তুরস্ক সফর করবেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাতে উভয় নেতার দফতর থেকে এ কথা জানানো হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দফতর জানায়, ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মাত্র কয়েকদিন পর নেতানিয়াহুকে তুরস্কে স্বাগত জানানো হবে। আব্বাস আগামী মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) তুরস্ক সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান একই সপ্তাহে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে তুরস্কে স্বাগত জানাবেন।’
ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নেতারা ‘তুরস্ক-ফিলিস্তিন সম্পর্ক এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিন সঙ্ঘাতের সর্বশেষ পরিস্থিতির পাশাপাশি অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
নেতানিয়ার কার্যালয় নিশ্চিত করেছে যে ২০০৮ সালে ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্টের পর থেকে কোনো ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর এটি প্রথম তুরস্ক সফর।
তুরস্কের কূটনৈতিক এ পদক্ষেপ এমন এক সময় গ্রহণ করা হলো যখন অধিকৃত পশ্চিম তীরে বছরের পর বছর ধরে সহিংসতার প্রেক্ষাপটে ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়েছে।
গত এপ্রিলে জেরুজালেমের গুরুত্বপূর্ণ আল-আকসা মসজিদের ভিতরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে সেখানে ইসরাইলি পুলিশকে পবিত্র এ স্থানের অভ্যন্তরে ফিলিস্তিনিদের সাথে লড়াই করতে দেখা যায়।
২০১৮ সালের মে মাসে গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হাতে প্রায় ৫০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হওয়ার পর তুরস্ক তেল আবিব থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নেয় এবং আঙ্কারায় নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার করে। এর জের ধরে ইসরাইল জেরুজালেমে নিযুক্ত তুর্কি কনসাল জেনারেলকে বরখাস্ত করে পাল্টা প্রতিশোধ গ্রহণ করে।
সূত্র : বাসস/এএফপি