শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন

নাইজারে অভ্যুত্থান : ইইউর সাহায্য বন্ধ, হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

এনবিডি নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০২৩
  • ২৯ বার
ছবি : সংগৃহীত

ইউরোপীয় ইউনিয়ন নাইজারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া বন্ধ করেছে। এই সপ্তাহে দেশটির সামরিক নেতারা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দেয়ার পর, যুক্তরাষ্ট্রও একই কাজ করার হুমকি দিয়েছে।

নাইজার বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র একটি দেশ। বিশ্বব্যাংকের মতে, দেশটি সরকারি উন্নয়ন সহায়তার অংশ হিসেবে, বছরে প্রায় ২০০ কোটি ডলার অনুদান হিসেবে পেয়ে থাকে।

নাইজার, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো পশ্চিমা দেশগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার, যারা দেশটিকে পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে ইসলামি বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে আসছে। পূর্বে বেশ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশে অস্থিরতা বিরাজ করলেও, নাইজারকে সবচেয়ে স্থিতিশীল একটি দেশ হিসাবে দেখা হতো। নাইজার হলো বিশ্বের সপ্তম-বৃহৎ ইউরেনিয়াম উৎপাদনশালী দেশ।

নাইজারের বিদেশী মিত্ররা এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান, জেনারেল আব্দুরহামানে তচিয়ানির নেতৃত্বাধীন নতুন সামরিক সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে। তাকে শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা করা হয়।

প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের ভিতরে থাকাকালীন, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বাজুমের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশগুলো এখনো তাকেই বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।

ইইউ পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, নাইজারের বাজেট সহায়তা অবিলম্বে বন্ধ করার পাশাপাশি, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সকল সহযোগিতা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

নাইজারে প্রায় ১ হাজার ১০০ সৈন্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে এবং তারা নিরাপত্তা ও উন্নয়ন সহায়তার জন্য দেশটিকে লাখ লাখ ডলার প্রদান করে।

নাইজার হলো সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রবাহ রোধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। সামরিক প্রশিক্ষণ মিশনের জন্য নাইজারে ইইউরও অল্প সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন রয়েছে।

ইইউ-এর ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০২১-২০২৪ সালের মধ্যে নাইজারে সুশাসন, শিক্ষা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির উন্নতির জন্য তাদের বাজেট থেকে ৫৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার অর্থ বরাদ্দ করেছে।

জাতিসঙ্ঘ বলেছে, নাইজারের অভ্যুত্থান তাদের মানবিক সহায়তা বিতরণে কোনো প্রভাব ফেলেনি।

নিজারে সামরিক জান্তার প্রতি ঠিক কতটা জনসমর্থন রয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। বুধবার বাজুমের সমর্থনে কিছু জনতা বেরিয়েছিল, কিন্তু পরের দিনই আবার অভ্যুত্থানের সমর্থকরা রাস্তায় বিক্ষোভ করে।

পশ্চিম আফ্রিকান দেশগুলির অর্থনৈতিক সম্প্রদায়, বা ইকোওয়াস, নিজারের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য আগামী রোববার নাইজেরিয়ায় একটি জরুরি শীর্ষ সম্মেলন করবে।

শুক্রবার এক জরুরি বৈঠকের পর, আফ্রিকান ইউনিয়নের শান্তি ও নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতি জারি করে। বিবৃতিতে তারা সেনাবাহিনীকে তাদের ব্যারাকে ফিরে যাবার এবং ১৫ দিনের মধ্যে সাংবিধানিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানায়। তবে, তারপর ঠিক কী হবে, তা বলা হয়নি।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com