যশোরের চৌগাছায় বিয়ের চার মাসের মধ্যেই সন্তানের জন্ম দিয়ে হত্যা করলেন এক মা (২০)। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পুড়াপাড়া-ক্লাবপাড়ায়। এ ঘটনায় পুলিশ চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। যার নম্বর-২২। পুলিশ ঘাতক মাকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৪/৫ মাস আগে উপজেলার পুড়াপাড়া-ক্লাবপাড়ায় ঐ নারীর বিয়ে হয়। বুধবার রাতে তার প্রসবযন্ত্রণা উঠলে শ্বশুরবাড়ির কাঁচা (গর্তখুড়ে তৈরি) বাথরুমে যায় এবং সেখানেই তার সন্তানের প্রসব করে। এ সময় ওই গৃহবধূ নবজাতককে হত্যা করে একটি কাপড়ে জড়িয়ে বাথরুমের ট্যাংকিতে ফেলে দেয়। সে সময় গৃহবধূর নানী শাশুড়ি নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনে ফেলেন।
পরে বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি গৃহবধূর কাছে জানতে চায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিষয়টি সে অস্বীকার করলে বলা হয়- তার পেটের টিউমার কোথায় গেল, রাতে বাচ্চার চিৎকার শুনলাম, কি করেছে- পরিবারের লোকজনের চাপাচাপির এক পর্যায়ে তিনি সন্তান জন্মের বিষয়টি স্বীকার করে। তখন বাড়ির লোকজন বাথরুমের ভেতর থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানতে পেরে চৌগাছা থানা পুলিশকে খবর দেন।
বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধূকে আটক করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন পুলিশ। নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। শুক্রবার দুপুরে চৌগাছা থানা পুলিশ ঘাতক গৃহবধূকে চিকিৎসা শেষে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজীব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ওই নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গৃহবধূ স্বীকার করে সে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করার সময়ে দুই ব্যক্তির সাথে তার দৈহিক সম্পর্ক হয়। সন্তানটির প্রকৃত বাবা কে তা সে নিশ্চিত করতে পারেনি। বিয়ের সময় অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি লুকিয়ে তার পেটে একটি টিউমার রয়েছে বলে ছেলে পক্ষকে বলা হয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় গৃহবধূর বিরুদ্ধে সন্তান হত্যার দায়ে পুলিশ মামলা করেছে। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।