মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫০ অপরাহ্ন

জাতিসঙ্ঘ শীর্ষ আদালতের মুখোমুখি ইউক্রেন-রাশিয়া

এনবিডি নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৩৯ বার

গত বছরের আগ্রাসনের কারণ হিসেবে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ‘গণহত্যা’ সংক্রান্ত মস্কোর দাবির প্রেক্ষিতে রাশিয়া ও ইউক্রেন সোমবার থেকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের মুখোমুখি হবে।

জাতিসঙ্ঘের শীর্ষ আদালতের রাশিয়ার চলমান সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করার আদেশ দেয়ার এখতিয়ার আছে কি-না তা নিয়ে হেগের শান্তি প্রাসাদে দুই যুদ্ধরত দেশের প্রতিনিধিরা মুখোমুখি হবেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ আগ্রাসনের নির্দেশ দেয়ায় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থীরা কিয়েভ শাসকের আক্রোশ ও গণহত্যার শিকারের যুক্তি দেখায়। আগ্রাসনের দু’দিন পর রাশিয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউক্রেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের করে। ইউক্রেন জোরালোভাবে অস্বীকার করে যুক্তি দেখায় যে, রাশিয়ার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা গণহত্যার বিষয়টি ১৯৪৮ সালের জাতিসঙ্ঘের গণহত্যা কনভেনশনের পুরোপুরি লঙ্ঘন। ২০২২ সালের মার্চ মাসে আইসিজে ইউক্রেনের পক্ষে থেকে রাশিয়াকে তার সামরিক পদক্ষেপ অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। তবে রায়টি ছিল তথাকথিত একটি ‘প্রাথমিক রায়।’ আদালত প্রকৃতপক্ষে বিষয়বস্তু নিয়ে রায় দিতে সক্ষম কি-না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত মুলতবি রয়ে যায়।

রাশিয়ার মতে, আইসিজে’র এ বিষয়ে রায় দেয়ার এখতিয়ার নেই। কারণ, ইউক্রেনের মামলাটি জাতিসঙ্ঘের জেনোসাইড কনভেনশনের আওতার বাইরে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসঙ্ঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিরোধ মীমাংসার লক্ষ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালত গঠিত হয়। রাশিয়ার চলমান সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করার আদেশ দেয়ায় আদালতের এখতিয়ার আছে কি-না তা নিয়ে তা সিদ্ধান্ত নিতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।

রাশিয়া আগ্রাসনের পূর্বে কয়েক বছর ধরে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের সমর্থন করার অভিযোগ নিয়ে গঠিত ইউক্রেনের দায়ের করা একটি পৃথক মামলাও মোকাবেলা করছে আইসিজে।

সূত্র : এএফপি/বাসস

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com