চতুর্থ দফার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচিতে যাচ্ছে বিএনপি। টানা ৪৮ ঘণ্টার এই অবরোধ রোববার ১২ নভেম্বর ভোর থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত চলবে।
বিএনপির একটি সূত্র এমন তথ্য জানিয়েছেন।
তৃতীয় দফা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ শুক্রবার ভোরে শেষ হবে।
গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি-হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং চলমান এক দফা দাবিতে আবারো টানা দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী। এর আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল, ৩১ অক্টোবর, ১, ২ এবং ৫, ৬ এবং ৮ নভেম্বর অবরোধ কর্মসূচির পালন করেছে বিএনপি-জামায়াতে। দল দু’টির ডাকা পূর্বের হরতাল ও অবরোধে রাজধানী ঢাকায় কম পিকেটিং মিছিল হলেও রাস্তায় গণপরিবহন চলেছে একবারে সীমিত আকারে। রাজধানীবাসী ব্যক্তিগত কাজে রিকশা, সিএনজি ও প্রাইভেট কার নিয়ে চলছে। যা স্বাভাবিক দিনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য। তবে ঢাকার বাহিরে ব্যাপকভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। দেশব্যাপী হরতাল ও অবরোধে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সারাদেশে বিএনপি জামায়াতসহ বিরোধী দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সঙ্ঘাতে পণ্ড হওয়ার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দলের উল্লেখযোগ্য নেতাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এছাড়া গত ২৮ অক্টোবর রাত ১০টার পর থেকে এখনো নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ, সেদিনের সঙ্ঘাতের পর থেকে কোনো নেতাকর্মী বা অফিস সহকারীকে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কড়া অবস্থান নিয়েছে। কাঁটাতারে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ।