রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:০২ অপরাহ্ন

ন্যাটোর বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন পুতিন

বিডি ডেইলি অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৩৯ বার

ন্যাটোতে সুইডেন যোগ দিলে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে এমনকি ন্যাটোর সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দেশটির সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল মিখাইল খোদারিওনক এমন সতর্কতা জানিয়েছেন। বিশেষ করে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই পশ্চিমাদের সঙ্গে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি বৃদ্ধি পেয়েছে। একে কেন্দ্র করে রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এমন অবস্থায় ক্রেমলিনের কিছু কর্মকর্তা, সেনা কর্মকর্তা এবং মিডিয়ার প্রপাগান্ডায় ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে, পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া। তবে তা হলে কতটা গুরুতর হবে তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিশেষজ্ঞরা। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ।

এ বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিউ স্টার্ট ট্রিটি বা চুক্তিতে অংশগ্রহণ অস্থায়ীভাবে স্থগিত করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মার্চে ঘোষণায় বলা হয়, প্রতিবেশী বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদাগার গড়ে তুলবে মস্কো। বেলারুশ শাসন করছে পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার লুকাশেঙ্কো। নিউজউইকের মতে, ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক একজন উপদেষ্টা এবং সামাজিক মাধ্যমের একজন ভাষ্যকার অ্যান্টন জেরাশেঙ্কো রাশিয়ার অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মিখাইল খোদারিওনকের একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেছেন।তাতে বাল্টিক সাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা আছে। ওই ক্লিপে তিনি সুইডেনকে রাশিয়ার প্রতি বিরুদ্ধাচরণের মাধ্যমে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার বিষয়ে সতর্ক করেন। এতে ওই অঞ্চলে অন্য ন্যাটো সদস্যদের সঙ্গে অপরিহার্য এক পারমাণবিক যুদ্ধের উত্তেজনা সৃষ্টি করবে বলে জানান তিনি।

 

খোদারিওনক হলেন রাশিয়ার একজন সামরিক বিশেষজ্ঞ। বলেন, এর ফলে রাশিয়া ফেডারেশন ও ন্যাটোর মধ্যে যুদ্ধ শুরুতে ভূমিকা রাখবে। যদি এই যুদ্ধ হয়, তাহলে তা হবে শুধুই পারমাণবিক যুদ্ধ। এ জন্যই স্টকহোম এবং তালিনকে (এস্তোনিয়ার রাজধানী) প্রশ্ন করা যেতে পারে- আপনারা কি এটা চান? আপনাদের এর প্রয়োজন আছে? আপনারা কি পানির নিচ দিয়ে পারমাণবিক বিস্ফোরণের বিষয় কল্পনা করতে পারেন? আপনারা কি দেখতে চান বাল্টিক সমুদ্রের পুরোটা আমাদের মাইনে ভরে গেছে? এত বেশি মাইন পাতা হবে যা সরাতে ১০ বছর সময় লেগে যাবে।
ন্যাটোতে যোগ দিতে চাইছে ইউরোপিয়ান বেশ কয়েকটি দেশ। তার মধ্যে সুইডেন, ইউক্রেন, জর্জিয়া অন্যতম। তুরস্কের তরফ থেকে বিরোধিতার মুখে এ বছরের শুরু থেকে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার চেষ্টা করে আসছে সুইডেন। জুলাই মাসে বিরোধিতা প্রত্যাহার করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান। আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে এপ্রিলে যোগ দিয়েছে ফিনল্যান্ড। ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাালের মধ্যে পোল্যান্ড, এস্তোনিয়া ও লাতভিয়ার মতো অন্য বাল্টিক দেশ এতে যোগ দেয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com