চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ২০০টি দেশ ও দুটি আন্তর্জাতিক প্রমোদতরীতে। ভাইরাসটির সংক্রমণে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ হাজার ৮২০ জন। সারা বিশ্বে সাত লাখ ৮৫ হাজার ৮৭০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৯ জন।
সফটওয়্যার সল্যুশন কোম্পানি ‘ডারাক্সে’র পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘ওয়ার্ল্ডোমিটারে’ প্রকাশিত তথ্যমতে এই প্রতিবেদন লেখা হয়েছে। এখানে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বিপর্যস্ত ছয়টি দেশের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র
বিপর্যস্তের তালিকায় প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আক্রান্তের দিক থেকে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রে মোট এক লাখ ৬৪ হাজার ২৫৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১৬৭ জনের।
ইতালি
এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ৫৯১ জন। আর মোট আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ৬৮৯ জন।
স্পেন
মৃত্যুর দিক থেকে ইতালির পরের স্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ৭১৬ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছে ৮৭ হাজার ৯৫৬ জন।
চীন
সব দিক থেকে এক সময় প্রথম অবস্থানে থাকা চীন এখন রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে। করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল এই দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৫১৮ জন। আর মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৩০৫ জন। সর্বশেষ তথ্য মতে, চীনে নতুন করে মাত্র ৭৯ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
জার্মানি
জার্মানিতে মৃতের সংখ্যা কম হলেও আক্রান্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৮৮৫ জন। সর্বশেষ তথ্যমতে, জার্মানিতে এই ভাইরাসে ৬৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফ্রান্স
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃত্যুর দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স। সেদেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪৪ হাজার ৫৫০ জন আর মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ২৪ জনের।
ইরান
আক্রান্তের দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও মৃত্যুর দিক থেকে পঞ্চম অবস্থানে আছে ইরান। দেশটিতে এই ভাইরাসে দুই হাজার ৭৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছে ৪১ হাজার ৪৯৫ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্যমতে, এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে ২১ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষের বয়স ছিল ৮০ বছরের উপরে। ৪০ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের এই ভাইরাসে মৃত্যুর হার ০ দশমিক ৪ শতাংশ।