নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন, এমন গুঞ্জনের মধ্যেই পদত্যাগকারী গভর্নর অ্যান্ড্রু কোমো নিউ সীমান্ত নীতি নিয়ে তার নিজের দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তীব্র সমালোচনা করেছেন। তার আক্রমণ থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বা পড়েননি।
অভিবাসন ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য ডেমোক্র্যাটদের প্রতি আহ্বান জানান কোমো। তিনি দি হিলে প্রকাশিত এক মতামত কলামে বলেন যে নিউইয়র্ক সিটিতে মারাত্মক সঙ্কট সৃষ্টিকারী সীমান্ত ইস্যুতে ডেমোক্র্যাটদের আসলে কোনো ‘নীতি বা পরিকল্পনা’ নেই।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত নীতি কী, আমরা কিভাবে সীমান্ত দিয়ে আসা ২০ লাখ অভিবাসীকে সামাল দেব, তারা কি সীমান্ত দিয়ে আসতেই থাকবে?- এসব ব্যাপার আমরা জানি না।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঠিক এই মুহূর্তে ডেমোক্র্যাটদের কোনো পরিকল্পনা বা নীতি নেই। ডেমোক্র্যাটদের সরকারের অকার্যকারিতা এবং আদর্শগত বিভাজনই ফুটে ওঠেছে।’
সাবেক এই গভর্নর অভিবাসন সঙ্কটের কোনো সমাধান না থাকায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এই কারণেই রিপাবলিকান গভর্নররা অভিবাসীদেরকে বাসে বোঝাই করে ডেমোক্র্যাট-পরিচালিত নগরীগুলোতে পাঠাতে পারছেন।
তিনি বলেন, আবার এই সমস্যা কিভাবে সমাধান করা হবে তা নিয়ে নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সির ডেমোক্র্যাটিক নেতারা একমত হতে পারছেন না।
কোমো বলেন, গার্ডেন স্টেট অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার বাইডেনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে নিউইয়র্ক সিটিতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, কেবল মেয়র এরিক অ্যাডামসই অভিবাসীদের গ্রহণ করে যাচ্ছেন। এটা কেবল তার সুনামই ধ্বংস করছে না, সেইসাথে নিউইয়র্ক সিটির কাছ থেকে অনেক মূল্য নিচ্ছে।
তিনি বলেন, নিউইয়র্ক সিটির বাসিন্দারা মনে করে, অভিবাসীদের কেবল সিটিতে নয়, বরং পুরো রাজ্যেই আশ্রয় দেওয়া উচিত। আর অভিবাসীদের ব্যয়ভার মেটানোর জন্য রাজ্য ও ফেডারেল সরকারকে আরো আর্থিক সুবিধা প্রদান করা দরকার।
তিনি এই সঙ্কট নিরসন না করতে পারার জন্য প্রেসিডেন্ট, গভর্নর ও মেয়র- সবাইকে দায়ী করেন।
আগামী মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- এমন গুঞ্জনের মধ্যে কোমোর কলামটি প্রকাশিত হলো। যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের মধ্যে সাবেক এই গভর্নর ২০২১ সালে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তিনি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।