শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৪ অপরাহ্ন

কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশী ইফতার সামগ্রীর পসরা

বিডি ডেইলি অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪
  • ১১৭ বার

বাংলাদেশীদের জন্য এখন অন্যতম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। ২০২২ সালের পর কলিং ভিসায় পাঁচ লাখেরও বেশি বাংলাদেশী বেকার কর্মীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে। বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার নাগরিকদের ধর্ম এক হলেও জীবনধারণ, পোশাক ও খাবারে রয়েছে ভিন্নতা। হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর দিন শেষে দেশীয় খাবারেই স্বাদ পেতে চান প্রবাসী বাংলাদেশীরা। আর তাদের চাহিদার ভিত্তিতে দেশটিতে অসংখ্য বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট চালু হয়েছে।

আর এসব বাংলাদেশী খাবারের দোকানেই উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বাংলাদেশী খাবারের পসরা সাজিয়ে বাঙালি ক্রেতাদের আকর্ষণ করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে যেন বাংলাদেশী ক্রেতা-বিক্রেতার মিলনমেলায় পরিনত হয় কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং সহ দেশটির বিভিন্ন এলাকা।

মালয়েশিয়ায় বর্তমানে প্রায় দেড় মিলিয়ন বাংলাদেশী রয়েছেন। দেশটিতে মুসলিমদের জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক। উপযুক্ত কারণ ছাড়া রোজা না রাখলে জরিমানার সম্মুখীন হতে হয়।

মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের খাবারের মধ্যে যেমন পার্থক্য রয়েছে তেমনি ইফতারেও রয়েছে ভিন্নতা। মালয়েশিয়ার খাবারগুলো মিশ্র পাশ্চাত্যের ঘেষা। বাংলাদেশীরা প্রথম প্রথম মালয়েশিয়ায় গিয়ে এসব খাবার খেতে পারেন না, অভ্যস্ত হতে সময় লাগে। তখন বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট ও নিজেরা রান্না করে খেতে হয় তাদের। মালয়েশিনরা ইফতারে ছোলাবুট ও মুড়ি খেতে জানে না। অন্যদিকে সব শ্রেণীর বাংলাদেশীর মুখরোচক খাবার মুড়ি বুট, বেগুনী, আলুর চপ, পিয়াজু ও জিলাপি। এসব দেশীয় খাবারের লোভে প্রবাসীরা ভিড় করছেন দেশীয় রেস্তোরাঁর ইফতারির বাজারে

কুয়ালালামপুরের বুকিতবিনতাং বানিজ্যিক এলাকায় বাংলাদেশী জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে পিঠাঘর রেস্টুরেন্ট, ভিআইপি পিঠাঘর রেস্টুরেন্ট, রংধনু রেস্টুরেন্ট, আলো ছায়া রেস্টুরেন্ট, ব্যাচেলর পয়েন্ট রেস্টুরেন্ট। এছাড়াও রয়েছে তেজপাতা রেস্টুরেন্ট, রসনা বিলাস রেস্টুরেন্ট, আপন রেস্টুরেন্ট, বাসমতি রেস্টুরেন্ট, রাধুনী বিলাস রেস্টুরেন্ট। এগুলোতে শুধুমাত্র বাংলাদেশী খাবার পরিবেশন করা হয়।

তবে প্রবাসী ক্রেতারা বলছেন, এসব খাবারের দাম একটু বেশি। তারপরও প্রবাসের মাটিতে এসব দেশীয় খাবারে ইফতার করে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।

আর দেশীয় খাবার বিক্রতারা বলছেন, ‘আমরা যেসব উপকরণ দিয়ে বাংলাদেশী খাবার তৈরি করি সে সব উপকরণের দাম সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তেই থাকে। একবার দাম বাড়লে সেটা আর কখনো কমে না। তখন বাধ্য হয়ে বেশি দামেই এসব পন্য কিনতে হয়। তাই তুলনামূলকভাবে দেশীয় পণ্যেরন দাম একটু বেশি হয়।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com