সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে দীর্ঘ ৩১ দিন বন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়ে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের পথে রওনা দিয়েছে। যাত্রা শুরুর আগে জাহাজটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে কাঁটাতারের বেস্টনি।
জানা গেছে, অন্য কোন জলদস্যু গ্রুপ যাতে জাহাজটি ফের আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য এমন নিরাপত্তা বেস্টনি তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে জাহাজটির ডেকে ফায়ার হোস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আবার কোনো বিপদ হলে নাবিকেরা যাতে জাহাজে সুরক্ষিত স্থানে লুকাতে পারেন, সে জন্য জাহাজের গোপন কুঠুরি ‘সিটাডেল’ ও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিষয়টি স্বীকার করে কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, ‘সোমালিয়ার যে উপকূল থেকে নাবিকরা আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল সেটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছিল। এজন্য আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। কাঁটাতারের বেস্টনি যুক্ত করেছি’।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কাঁটাতারের এই মজুদ জাহাজেই ছিলো। আমাদের সব জাহাজে এমন প্রস্তুতি থাকে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা অতিক্রমের সময় আমরা সেটা ব্যবহার করি।’
তাহলে জলদস্যু আক্রান্ত হওয়ার সময় ব্যবহার করেননি কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে কেএসআরএম গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, ‘আমাদের জাহাজ তখন হাইরিস্ক এরিয়ার বাইরে ছিল। সোমালিয়ার উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল রিস্কি এলাকা। তখন আমরা ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিলাম। তাই আর্ম গার্ড নেইনি আমরা।’
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয় জলদস্যুরা।