বিদেশে শ্রমিক প্রেরণে নানাবিধ অনিয়ম ও জাল জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৩৭ রিক্রুটিং এজেন্সির কার্য়ক্রম বন্ধ রেখেছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)।
তবে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের কেউ কেউ বলছেন, শুধু বিদেশে কর্মী প্রেরণে অনিয়ম করার জন্য নয়, মালিকানা সমস্যা সমাধান না হওয়ার কারণেও অনেক রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স নবায়ন করা যাচ্ছে না।
বিএমইটির পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা গেছে, বিদেশে শ্রমিক পাঠাতে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে দুই হাজার ২৪৬টি। এর মধ্যে শ্রমিক প্রেরণের সাথে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও জাল জালিয়াতির অভিযোগ জমা পড়ে বিএমইটিতে। এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে অভিযোগ প্রমাণসাপেক্ষে রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভার লকড করে দেয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ২৩৯টি রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স সাসপেন্ড করে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো। এ ছাড়া যেসব এজেন্সির বিরুদ্ধে চূড়ান্তভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে সেগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এমন বাতিল হওয়া লাইসেন্সের সংখ্যা ১২৬টি। পরবর্তীতে স্থগিত ও বাতিল হওয়া লাইসেন্স মালিকদের কেউ কেউ আদালতের শরণাপন্ন হন।
গতকাল কাকরাইল এলাকার একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক নাম না প্রকাশের শর্তে নয়া দিগন্তকে বলেন, প্রথমত, বিদেশে শ্রমিক যাওয়ার পর কাজ ও বেতন না পাওয়ার অভিযোগ। পরবর্তীতে তাদের স্বজনরা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে এজেন্সির নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ জমা দিলে তদন্ত শুরু হয়। শুরুতেই ওই লাইসেন্সের সার্ভার লকড করে দেয়া হয়। তিনি বলেন, এ ছাড়াও মালিকানা-দ্বন্দ্বের কারণে অনেক লাইসেন্স নবায়ন করা যায় না। এ ছাড়া পুরাতন যেসব লাইসেন্সের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে তাদের অনেকে জামানতের সাড়ে আট লাখ টাকা জমা না দেয়ার কারণে লাইসেন্স নবায়ন করতে পারছে না বলে জানি।