২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খুব সংরক্ষিতভাবে আমরা এগোতে চাই। যাতে আমাদের দেশের মানুষের কষ্ট না হয়। মানুষের যে প্রয়োজন সেটা আমরা মেটাতে চাই। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এবারের বাজেট আমরা করেছি।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৬ দফা উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির আমলে সর্বশেষ বাজেট ছিল মাত্র ৬২ হাজার কোটি টাকার। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার মনে হয় ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিল। সেখানে আমরা ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এই বাজেটে মানুষের মৌলিক যে অধিকার সেটা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, দেশীয় শিল্প এবং সামাজিক নিরাপত্তা এসব বিষয়গুলোতে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তবে যেহেতু মূল্যস্ফীতি, যারা সীমিত আয়ে চলে তাদের জন্য আমরা ফ্যামিলি কার্ড করে দিয়েছি। যাতে কষ্টটা কিছুটা লাঘব হয়।’
তিনি বলেন,‘ আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম, কোভিড-১৯ অতিমারি দেখা দিল। এই অতিমারির ফলে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। আমারাও সেই মন্দায় পড়ে গেলাম। সারা বিশ্বে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেল। এরপর আসলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। সেখানে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রতিটি জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেল।’
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শাজাহান খান, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।