বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংকসহ সব এখন খালি। সব ব্যাংকের টাকা লুট করা হয়েছে। ব্যাংকে গিয়ে দেখবেন শুধু চেয়ার টেবিল পড়ে আছে। সরকার বাংলাদেশের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান শেষ করে দিয়েছে।
প্রতারণার শিকার হয়ে মালয়েশিয়াগামী শ্রমিক সোহেল তানভীররের আত্মহত্যার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ সোমবার মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের সামনে শ্রমিক দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ দম বন্ধ করা পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছি, দিনযাপন করছি। একদিকে সরকারী আক্রমণ, একদিকে গুম খুন ক্রসফায়ার, আরেক দিকে ক্ষুধায় দারিদ্রতায় বঞ্চনায় মানুষ আত্মহত্যা করছে। মায়েরা, মা-বাবারা সন্তান বিক্রি করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে চুক্তি হয়েছে প্রতি ব্যক্তি যারা মালয়েশিয়া যাবেন, তাদের লাগবে ৭৮ হাজার পাঁচ শ’ টাকা। অথচ দুষ্টচক্র পাঁচ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে। একদিকে ছাড়পত্র হয়েছে, পাসপোর্ট হয়েছে, সকল প্রস্ততি শেষ হওয়ার পরও আজকে হাজার হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে পারেনি। বাংলাদেশের এই যে চক্র তারা কারা? তারা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ লোক। জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরি, নিজাম হাজারি, সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামালের পরিবার তারা বাংলাদেশের ক্ষমতাশালী ব্যক্তি, তারাই এই চক্রের সাথে জড়িত। মানুষের জায়গা, জমি, গয়না, সহায় সম্বল বিক্রি করে যে ছেলেটি মালয়েশিয়া যেতে পারেনি সে ভৈরব ব্রিজ থেকে মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কারণ বাড়িতে গিয়ে তার তো কিছু করার ছিল না। জায়গা জমি বিক্রি করে নি:স্ব হয়ে সে আত্মহুতি দিয়েছে। এটিই হলো শেখ হাসিনার উপহার। ১৬ বছর ধরে এভাবে তারা গোটা জনগণকে প্রতারিত করছে। এভাবে আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো শেষ করে দিয়েছে সরকার।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জুর পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইঁয়া, ব্যাংকিং বিষয়ক সম্পাদক লায়ন হারুনুর রশিদ, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল নেতা তৌহিদুর রহমান আউয়াল সহ শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা।