হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে নূরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়ার বিরুদ্ধে ত্রাণের চাল লুটের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে তার হেফাজত থাকা ১ হাজার ৭০০ কেজি চাল জব্দ করা হয়। আরো ৩০০ কেজির হদিস পাওয়া যায়নি। এছাড়া টিপসই নিয়ে ভিজিডির চাল না দেয়ার সত্যতাও পাওয়া গেছে।
জানা যায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফত রানার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে চাল জব্দ করা হয় এবং আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
এদিকে, গ্রেফতার এড়াতে ইউপি চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়া আত্মগোপন করেছেন। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ইয়াছিন আরাফাত রানা জানান, গত ২/৩ মাস যাবত ভিজিডির চাল বিতরণে অনিয়ম করছেন বলে অভিযোগ উঠে ইউপি চেয়ারম্যান মখলিছ মিয়ার বিরুদ্ধে। বিতরণ তালিকায় সুবিধাভোগীদের নাম ও টিপসইও রয়েছে কিন্তু চাল বিতরণ করা হয়নি। এছাড়া চলমান সংকটে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ কেজি করে চাল দেয়ার নিয়ম থাকলেও তিনি প্রতি ব্যাগে ৯ কেজি করে চাল রাখেন। আবার এসব চালও বণ্টন না করে নিজের হেফাজতে রেখেছেন।
তিনি আরো জানান, নূরপুর ইউনিয়নে দুই হাজার কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তার হেফাজতে ১ হাজার ৭০০ কেজি পাওয়া গেলেও বাকি ৩০০ কেজির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। জব্দকৃত চাল শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ এবং মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এর ৬ (৫) ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।