শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টির ঐতিহাসিক বিজয়ের সম্ভাবনা

বিডি ডেইলি অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
  • ৬৩ বার

যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টির ঐতিহাসিক বিজয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দেড় দশকের কনজারভেটিভ শাসনের অবসান ঘটিয়ে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবে বিরোধী লেবার পার্টি। সাধারণ নির্বাচনে ব্রিটেন বৃহস্পতিবার ভোট দেয়। এরপর জরিপে তাদের জয়ের চিত্র দেখা যায়। এক্সিট পোল অনুযায়ী, ৬৫০টি আসনের মধ্যে লেবার পার্টি ৪১০ আসন পেতে যাচ্ছে। আর ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দল পাচ্ছে ১৩১টি।

২০১৯ সালে টোরিদের নেতা বরিস জনসন একতরফা জয় পাবার পর এটা প্রথম জাতীয় ভোট। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আকস্মিকভাবে নির্ধারিত সময় থেকে ছয় মাস আগে এই নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

তিনি যে বাজি ধরেছিলেন তা হয়ত তার সপক্ষে যাবে না; বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। ছয় সপ্তাহের নির্বাচনী প্রচারের পর শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। সুনাকের দক্ষিণপন্থী দল মারাত্মকভাবে পরাজিত হবে বলে আন্দাজ করা হচ্ছে।

সংসদে বৃহত্তম দলের নেতা হিসেবে লেবার পার্টির ৬১ বছর বয়সী নেতা কিয়ের স্টারমার প্রায় নিশ্চিতভাবেই ডাউনিং স্ট্রিটে অধিষ্ঠিত হতে চলেছেন।

২০০৫ সালের পর ঐতিহাসিক ভোটের ব্যবধানে কেন্দ্রীয়-বাম লেবার পার্টি তাদের প্রথম সাধারণ নির্বাচন জিততে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচন উপলক্ষে একাধিক জনমত সমীক্ষায় দেখানো হচ্ছে যে এই দল তাদের সর্বকালের বৃহত্তম বিজয় অর্জন করতে চলেছে।

তবে, স্টারমার এখনই নিশ্চিত হতে চাইছেন, বরং তিনি সংশয়ী ও সাবধানী। তিনি ভোটারদের বাড়িতে না থেকে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ভোটের উপর। তবে, আপনারা যদি ভোট দেন তবেই কেবলমাত্র পরিবর্তন হতে পারে।’

যুক্তরাজ্যজুড়ে ৪০ হাজারের বেশি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে স্থানীয় সকাল ৭টা (০৬০০ জিএমটি) থেকে ভোট-পর্ব শুরু হয়। গির্জার কক্ষ, কমিউনিটি কেন্দ্র, স্কুল থেকে পাব ও এমনকি জাহাজকেও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

সুনাক সকাল সকাল ভোট দেন। ব্রিটেনের উত্তরাঞ্চলে ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড অ্যান্ড নর্থালার্টন নির্বাচনী এলাকায় তিনি নিজের ভোট দেন। স্টারমার এর প্রায় দুই ঘন্টা পর তার উত্তর লন্ডনের আসনে ভোট দিয়েছেন।

পূর্ব লন্ডনের হ্যাকনিতে ভোট দেওয়ার পর ৩২ বছর বয়সী লেখক ইয়ানথ জেকব বলেন, ‘আমি সবেমাত্র অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরেছি এবং আমার মনে হয়েছে যে, এ দেশে সবকিছুই ভ্রান্ত দিকে এগিয়ে গেছে এবং প্রচুর মানুষ অসন্তুষ্ট।’

লন্ডনের উত্তরে সেন্ট অ্যালবানসে ২২ বছর বয়সী শিক্ষার্থী জুডিথ এএফপি-কে বলেন, ‘আমি এদের কাউকেই আসলে বিশ্বাস করি না, তবে ভোট দেব। আমার অনেক বন্ধুই এমনটা মনে করেন।’
সূত্র : বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা এবং অন্যান্য

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com