রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৬ অপরাহ্ন

জামায়াত নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল

বিডি ডেইলি অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪
  • ৪০ বার

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। এটা (জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা) তারা আগে করেনি কেন? এখন কেন করছে? আওয়ামী লীগ আগের মতো অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে চায়।তারা নানা কৌশল করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হচ্ছে।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলন ছয় সমন্বয়ককে ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে যে নাটক করা হয়েছে, এটা রাজনৈতিক জীবনে কেউ দেখেনি যে ডিবি অফিসে বসে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। ত্রাস সৃষ্টি করে এগুলো করা হয়েছে। আবার ডিবি অফিস এখন ভাতের হোটেল- এটা সবাই জানে। এ ধরনের একটা নাটক করে পুরো জাতিকে ছোট করা হয়েছে। এটি নিয়ে হাইকোর্টও বলেছেন। এরপর আর কিছু বলার নেই।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের কোনো রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নেই। আওয়ামী লীগও সরকারে নেই। একটি অদৃশ্য শক্তির মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের কথা শুনলে এটি বোঝা যায়।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কয়েক দিন অনেক ঘটনা ঘটেছে। গণগ্রেপ্তার চলছে, গ্রেপ্তারদের রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। যাকে পাচ্ছে তাকে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। জাতি তো বোকা নয়, এগুলো বুঝবে না। কিশোরদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে, আবার রিমান্ডে নেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে, এটা কখনো আমরা দেখিনি।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলন কিন্তু আজ শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের গণমাধ্যমেও আলোচিত হয়েছে। জাতিসংঘ এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। অনেকে বলেছে, এটি স্বৈরাচার সরকার। এ আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শুধু ছাত্র নয়, মারা গেছে নানা পেশা ও শ্রেণির লোক। পত্রিকায় দেখলাম, মারা যাওয়ার সংখ্যা দিয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন- তারা জামায়াত-বিএনপি। কিন্তু আমি তো এখানে জামায়াত-বিএনপির কোনো লোক দেখলাম না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা জানি কে এ আন্দোলনের উস্কানি ও অর্থ দিয়েছেন। কই আগে তাহলে থামলেন না কেন, এর মানে আপনি জেনে থামলেন না। আপনি শান্তি চাননি। আবার বলে, আন্দোলনে জামায়াত-বিএনপি ঢুকেছে, আবার বলে তৃতীয় শক্তি, বলে বিদেশি।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রংপুরে আবু সাঈদকে নিয়ে যা বলেছেন, তা মুখে বলা যাচ্ছে না, এত অশ্রাব্য ভাষা। এর নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। এরা তো শহীদ, এরা তো আমাদের সন্তান।’

‘ছাত্ররা তো বেশি কিছু চায়নি, তারা কোটা সংস্কার চেয়েছিল। তখন তো তারা আপনাদের বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জমিদারি ভাব নিয়ে সরকার বসেনি, আদালতের ওপর ভর করেছে। তাই বলে কি এই চাওয়ার জন্য এতগুলো তাজা প্রাণ ঝরবে?- প্রশ্ন রাখেন মির্জা ফখরুল।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com