সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে ৫ দফা দাবিতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গ্লোবাল বাংলাদেশি অ্যালায়েন্স ফর হিউমান রাইটস (জিবিএএইচআর) এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) পূর্ব লন্ডনে ‘জিবিএএইচআর’ কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। এতে অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মিসেস তালেয়া রেহমান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জিবিএএইচআরের আহ্বায়ক ও সাপ্তাহিক সুরমা সম্পাদক শামসুল আলম লিটন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ড. ইউনূস সরকারের কাছে ৫ দফা দাবি পেশ করেন।
গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও ভারতের সঙ্গে বন্দী প্রত্যার্পণ চুক্তির অধীনে অনুপ চেটিয়াসহ অনেক বন্দী বিনিময়ের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা হয়। সম্প্রতি ছাত্র গণহত্যার বিচারে ভারত সরকারের উচিত বাংলাদেশকে সহায়তা করা এবং দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও নিরাপত্তার জন্যেও এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
পাঁচ দাবি হলো-
১. দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন করা।
২. সম্প্রতি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা, গুম ও বিচারবহির্ভূত সব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী আদালতে অবিলম্বে বিচার শুরু করা।
৩. গত ১৫ বছরের স্বৈরশাসন আমলে আটক সব রাজবন্দীর মুক্তি এবং তাদের নিপীড়নের শিকার হয়ে নির্বাসিত শত শত লেখক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা ও ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।
৪. আগামী ১ বছরের মধ্যে দেড় কোটি প্রবাসীর এনআইডি ও ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে তাদের ভোট প্রদানের নিশ্চয়তা বিধান করা।
৫. মানবাধিকারের সব আন্তর্জাতিক ঘোষণা, কনভেনশন ও বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা অনুসারে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সমাজের সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে প্রয়োজনে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার জাকির হাসান শিশির, সিনিয়র ফেলো শেখ আখলাক আহমেদ, রাকেশ রহমান, হাসনাত আরিয়ান খান প্রমুখ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি