ঢাকা আইনজীবী সহকারী সমিতির সদস্য মোবারক হোসেন ভূঁইয়াকে হত্যা মামলায় ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা-৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে মাহাবুব, মো. মোজাম্মেল হক ওরফে বাদল ভূঁইয়া, আফজাল ভুঁইয়া, ইমদাদুল হক ওরফে সিকরিত ভূঁইয়া, নয়ন ভূঁইয়া, ধোলন ভূঁইয়া ওরফে ধুলো, রুহুল আমিন, চিকন মিয়া, সুলতানা আক্তার, দেলোয়ার হোসেন দীলিপ, বিধান সন্ন্যাসী ও নিলুফা আক্তার।
তাদের মধ্যে প্রথম আটজন কারাগারে রয়েছেন। বাকি চারজন পলাতক আছেন।
রায় ঘোষণার সময় কারাগারের থাকা আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একই সঙ্গে আদালত সামীন ওরফে ফয়সাল বীন রুহুল ও তাছলিমা আক্তার নামে অপর দুই আসামির ১ বছর করে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন।
এ ছাড়া মামলার আরেক আসামি জয়নাল আবেদিন ওরেফে ফালুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ প্রসিকিউটর মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানাধীন গোথালীয়া গ্রামের মোবারক হোসেন ভূঁইয়াকে হত্যা করা হয়। মৃত্তিক প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ঘর নির্মাণের জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রকাশ্য দিবালোকে তাকে হত্যা করে আসামিরা।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই অ্যাডভোকেট মো. মোজ্জামেল হক ভূঁইয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি আদালতে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। একই বছর ১৭ ডিসেম্বের ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করে বিচার শুরু করেন।
বিচারকালে রাষ্ট্রপক্ষের ৩১ সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া আসামিপক্ষে ১১ জন ছাফাই সাক্ষ্য প্রদান করে। এরপর আজ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
নিহত মোবারক হোসেন ভূঁইয়া ঢাকা আইনজীবী সহকারী সমিতির সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া তিনি মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা সদস্য ছিলেন।