উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে রবিবার মধ্যরাত থেকে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৭৫টি রকেট ছুড়েছে লেবাননভিত্তিক ইসলামি সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
এদিকে ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।
সোমবার ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি জানায়, মধ্যাঞ্চলের জাফা শহরে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
হুতিদের সামরিক মুখপাত্র জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, তেল আবিবে দুটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালান তারা। পাশাপাশি ড্রোন হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের এলিয়াত শহরেও একাধিক ড্রোন হামলা চালিয়েছেন হুতি যোদ্ধারা।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলের আকাশে একটি সারফেস টু সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তের পর বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ে যান। ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে। তবে কারা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তা বলা হয়নি বিবৃতিতে।
হুতিরা বলছে, তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ছিল প্যালেস্টাইন ২ এবং সেটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। দ্বিতীয়টি ছিল একটি ধু আল-ফিকার ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। তবে এটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পেরেছে নাকি ইসরায়েল ভূপাতিত করেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে ইসরায়েলি হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার তেল আবিবে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানায় ইসরায়েলের একাধিক গণমাধ্যম। গেল আগস্টের পর দেশটির কোনো বড় শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো হামাস।
তবে হামাস-হিজবুল্লাহ-হুতিদের হামলায় বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও অনেকটা বেকায়দায় পড়েছে ইসরায়েল। কারণ একই সময়ে তিন দেশকে সামলাতে হচ্ছে তাদের।