কিছুদিন আগেই পাকিস্তান সফর শেষ করে এসেছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দল। এ বছরই ফের দেশটিতে যাচ্ছে তারা। ডিসেম্বরে সফরে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলার কথা। শুরুতে অবশ্য লঙ্কান ক্রিকেট কর্তারা সফরটি বয়কটের কথা ভাবছিলেন। দলের সিনিয়ররা সন্ত্রাস কবলিত দেশটিতে যেতে খুব একটা আগ্রহী নন। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দাবির কাছে হার মানতে বাধ্য হয় তারা। কারণ কিছুদিন আগেই নিরাপত্তা শঙ্কা উড়িয়ে পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে ম্যাচ খেলে গেছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দল। এ অবস্থায় টেস্ট খেলতে সমস্যা কি? পিসিবির এমন প্রশ্নের মুখে শেষ অব্দি সফরে যাচ্ছে লঙ্কানরা। পাকিস্তানে নয়, দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজটি নিরপেক্ষ ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলতে প্রস্তাব করেছিল লঙ্কানরা। প্রয়োজনে সিরিজে যা ব্যয় হবে তার অর্ধেক দিতেও রাজি ছিল তারা। যদিও এই কথায় রাজি হয়নি পিসিবি। এ কারণেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড পাকিস্তানে খেলতে রাজি হয়েছে। এই দুটি ম্যাচ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। না খেললে দল পয়েন্ট হারাবে। সবকিছু ঠিক থাকলে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার টেস্ট ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে। পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানাচ্ছে- করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্ট খেলতে আপত্তি নেই শ্রীলঙ্কার।
সেই ২০০৯ সালের পর থেকেই টেস্ট ম্যাচ হচ্ছে না পাকিস্তানে। ওই বছর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের বাইরে শ্রীলঙ্কার টিম বাসের ওপর জঙ্গি হামলা হয়। আহত হয়েছিলেন লঙ্কান বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। তারপর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ দেশটিতে। এখন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফিরলেও টেস্ট খেলতে রাজি নয় কোন দল। সবার আগে সম্মতি মিলেছে লঙ্কানদেরই।