করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধের পাশাপাশি অর্থনীতির চাকা সচলে দেশটি তিনটি রংয়ে- লেড, ইয়োলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করছে সরকার। আর কোন এলাকা কোন রংয়ে থাকবে তার জন্য বিভিন্ন নীতিমালাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, কোনো এলাকায় যদি প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৩০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় তাহলে ওই এলাকায় রেড জোনে অবস্থান করবে। তবে ঢাকার বাইরে কোন এলাকায় ১ লাখের মধ্যে ১০ জন করোনা রোগী থাকলে সেই এলাকাও রেড জোনের আওতায় ধরা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, ঢাকা বা ঢাকার বাইরের কোন এলাকায় ১ লাখে ৩-১৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী থাকলে ইয়েলো জোন হিসেবে ধরা হবে। আর কোনো এলাকায় অনেকটাই নিরাপদ এলাকা হিসেবে যেখানে একেবারে কম করোনা আক্রান্ত রোগী থাকলে তাকে গ্রিন জোন হিসেবে ধরা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জোনিং নিয়ে প্রস্তাবনা চুড়ান্ত করা হয়েছে। সেটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা পাঠাবো। এ বিষেয় প্রস্তবনায় সংযোজন ও বিয়োজন করে প্রধানমন্ত্রী চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবেন।’
ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতিতে আবারও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন. ‘দেখুন দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী সীমিত পরিসরে সরকারি অফিস খুলে দিয়েছে। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে যাই হবে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেলের প্রধান ও অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান শনিবার ইউএনবিকে বলেন, ‘দেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করার কাজ মূলত আরও আগেই শুরু হয়েছে। এখন এটি চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’
তিনি জানান, এলাকাভিত্তিক ভাগ করার কাজটি করবে মূলত আইসিটি বিভাগ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্প ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের সহযোগিতা করছে সিটি করপোরেশন ও আইশৃঙ্খলা বাহিনী।
কবে নাগাদ এলাকাভিত্তিক কাজ শুরু হতে পারে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রস্তবনা চুড়ান্ত করেছি। এখন প্রধানমন্ত্রী যখন সিদ্ধান্ত দেন। তবে খুব শিগগিরই এলাকাভিত্তিক ভাগের কাজ শুরু হবে।’
রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় সবকিছু বন্ধ থাকবে কীনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’ ইউএনবি