একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি এক শোকবার্তায় বলেন, কামাল লোহানী বাঙালির ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। একজন আদর্শবান ও গুণী মানুষ হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠা এবং দেশের সংস্কৃতি বিকাশের আন্দোলনে পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি।
‘আমরা একজন প্রগতিশীল ব্যক্তিত্ব এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার অসাধারণ যোদ্ধাকে হারালাম,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রবীণ সাংবাদিক কামাল লোহানী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শেখ রাসেল গেস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
তার ছেলে সাগর লোহানী সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
কামাল লোহানী ফুসফুস ও কিডনির সমস্যার পাশাপাশি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
কামাল লোহানী ২০১৫ সালে একুশে পদক পান এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
কামাল লোহানী ১৯৩৪ সালের ২৬ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, ভারত ভাগ এবং ভাষা আন্দোলনের জীবন্ত সাক্ষী হয়ে বেড়ে উঠেন। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বার্তা বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
১৯৫৫ সালে দৈনিক মিল্লাতে সাংবাদিক হিসাবে প্রথম চাকরি শুরু করেন লোহানী। তিনি ১৯৬২ সালে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়নটে সেক্রেটারি হিসেবে যোগ দেন।