ক্রিকেট রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতেও সফল হবেন সৌরভ গাঙ্গুলি! অদূর ভবিষ্যতে পেয়ে যেতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদও। অন্তত এমনটাই মনে করছেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। টিম ইন্ডিয়ার সাবেক ওপেনারের দাবি, তিনি সৌরভ গাঙ্গুলি সম্পর্কে দুটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তার প্রথমটি ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। দ্বিতীয়টি ঘটার অপেক্ষায় আছেন তিনি।
কিন্তু কী এমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন শেহওয়াগ? বীরু বলছেন, “যখন প্রথম শুনলাম দাদা বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, তখন ২০০৭ সালের কেপ টাউনের একটা ঘটনার কথা মনে পড়ল। কেপ টাউনের সেই ম্যাচে আমি আর ওয়াসিম জাফর তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যায়। শচিনের চার নম্বরে ব্যাট করার কথা ছিল। কিন্তু, তিনি কোনো কারণে মাঠে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন না। সেসময় সৌরভকে বলা হলো চার নম্বরে ব্যাট করতে। দাদা দীর্ঘদিন বাদে দলে ফিরছিলেন। আর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রচুর চাপ ছিল সেসময়। কিন্তু, সেই চাপ যেভাবে তিনি সামলালেন, সেটা শুধু তিনিই পারতেন। সেদিনই আমরা ড্রেসিং রুমে সবাই মিলে ঠিক করি। যদি কোনো দিন আমাদের মধ্যে কেউ বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন, তাহলে তিনি হবেন দাদা। আমি তো এটাও বলেছিলাম, যে দাদা একদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। একটা ভবিষ্যদ্বাণী পূরণ হয়ে গেছে। আর একটা পূরণ হওয়ার অপেক্ষায় আছি।”
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই সভাপতি পদে দায়িত্ব নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মহারাজ। বোর্ডের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন তিনি। বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে মনোনয়ন দেয়ার আগে বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে সৌরভের একটি বৈঠক হয়। যে বৈঠক ঘিরে তারা বিজেপি যোগ নিয়েও জল্পনা ছড়ায়।
তবে, এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার সৌরভ গাঙ্গুলির রাজনীতি-যোগ নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। কিন্তু, প্রতিবারই তিনি যাবতীয় জল্পনায় পানি ঢেলে নিজেকে তথাকথিত সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরিয়ে রেখেছেন। এখন অদূর ভবিষ্যতে তার কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা, তা অবশ্য কারো জানা নেই। তবে, শেহওয়াগের জোরাল দাবি, দাদা একদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হবেনই।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন