২০ শে অক্টোবর রবিবার ২০১৯ সন্ধ্যা আট টায় জ্যাকসন হাইন্টস্হ খাবার বাড়ীতে ভোলা ডিষ্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন অফ ইউ এস এ ইনক ভোলার বোরহানউদ্দিনে অনাকাংখিত ঘটনার প্রতিবাদ ও শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনায় এক সভার আয়োজন করেন। সভাপতিত্ব করনে সংগঠনের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্বা রুহুল আমিন ভূঁইয়া এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আবদুর রহমান জুয়েল ও দফতর সম্পাদক মোহাম্মাদ আকতার হোসেন। শুরুতে অথ সহ কোরআন তেলাওয়াত করেন জনাব মো: আবদুল কাদের খান। সভায় বক্তব্য রাখেন, জনাব মোহাম্মদ আ:কাদের খান, প্রভীব কুমার রায়, মফিজুল হোসেন নিজাম, ফরিদ রহমান মোল্লা, শেখ ফরিদ, মাসুম, আবদুর রহমান জুয়েল, গোলাম মোস্তফা টিটু, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও মোহাম্মদ আকতার হোসেন। জনাব আবদুল কাদের খান তার বক্তব্যে বলেন-পুলিশি বর্বতায় জড়ে গেল অনেক গুলো তাজা প্রান এবং আহত হয়েছেন ২০০ শতাধিক। পুলিশের এহেন আচরন সরকারকে বিব্রত করার জন্যই ঘটিয়েছেন। তিনি আরো বলেন এহেন পরিস্থিতির যে বা যাহারা জড়িত অর্থাৎ ফেসবুকে মুসলমানদের প্রান রাসুল (সঃ) কে কুট্যক্তি করেছেন তার দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যাতে করে ভবিষৎতে এর পূনরা বৃত্তি না ঘটে। জনাব প্রবীর কুমার রায়, তার বক্তেব্যে বলেন, ভোলা সাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য দীঘদিনের। আমরা মিলে মিশে ভালই ছিলাম। বর্তমান পরিস্থিতি অনাকাংখিত সবাইকে ঠান্ডা মাথায় এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সম্মিলিত সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় সর্ব সম্মতিক্রমেই বাংলাদেশ সরকারের প্রতি দাবী জানানো হয়:-
১. শহীদ পরিবার বর্গকে আথিক অনুদান করার জন্য সরকারের প্রতি এই সভায় জোর দাবী জানান।
২. আহতদের সুচিকিৎসা দেওয়ার জন্য এই সভায় সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।
৩. এই সভার পুলিশের অমানবিক আচরনের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবী জানান।
৪. ফেসবুকে আমাদের প্রান রাসুল (সঃ) কে কট্যুক্তি করে যে বা যাহারা এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী তাদের কে তড়িৎ শাস্তি প্রদানের জন্য জোর দাবী জানান।
সভাপতির ভাষনে জনাব রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, এটা সম্পূন ভাবে অনাকাংখিত যে পুলিশের হামলায় অনেক গুলো তাজা প্রান চলে গেল এবং ২০০ শতাধিক আহত হয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এবং ভোলাবাসীকে ধৈর্যের সাথে এই অনাকাক্সিক্ষত বিপদের মোকাবেলা করার জন্য অনুরোধ জানাই। সভার শেষে শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন জনাব মোহাম্মদ আবদুল কাদের খান।