সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ অপরাহ্ন

ইরান বিষয়ে বড় ধাক্কাই খেলো আমেরিকা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০২০
  • ১৯৮ বার

জাতিসঙ্ঘে ইরানের বিরুদ্ধে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা। মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘের বৈঠকের পর জানিয়ে দেয়া হলো, আমেরিকার প্রস্তাব খারিজ করা হচ্ছে। কারণ, অন্য দেশগুলো আমেরিকাকে সমর্থন করেনি। জাতিসঙ্ঘের এই প্রস্তাবে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ আমেরিকা।

২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি ইরান ভঙ করেছে, এই অভিযোগে নতুন করে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চাইছিল আমেরিকা। গত ২০ আস্ট জাতিসঙ্ঘে এই প্রস্তাব দেয় ওয়াশিংটন। যে প্রক্রিয়ায় আমেরিকা এই নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব এনেছিল, তাকে কূটনৈতিক পরিভাষায় বলা হয় স্ন্যাপব্যাক। কিন্তু আমেরিকা এই প্রস্তাব পেশ করার পরেই জাতিসঙ্ঘের অন্য দেশগুলো এর বিরোধিতা করে। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো কোণঠাসা করা হয়েছিল ওয়াশিংটনকে। মঙ্গলবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় জাতিসঙ্ঘ।

বস্তুত, সিদ্ধান্ত জানানোর সময় জাতিসঙ্ঘ বলে, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য কোনো দেশই আমেরিকার প্রস্তাব সমর্থন করেনি। এই তিনটি দেশই ২০১৫ সালের চুক্তিতে আমেরিকার সঙ্গি। ফলে এই দেশগুলো সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দিলে প্রস্তাব এমনিই খারিজ হয়ে যায়। গত কয়েক বছরের কূটনীতিতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমেরিকার সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। বরিস জনসনের সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু জাতিসঙ্ঘে সেই বন্ধুত্বও কাজ করল না।

আমেরিকা দৃশ্যতই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতিসঙ্ঘের বক্তব্যে। এর আগেই আমেরিকা বলেছিল, ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার অর্থ সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করা। অস্ত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে এবং ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দাবি করছিল আমেরিকা।

ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দাবি ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক চাল বলেই মনে করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। নভেম্বরে নির্বাচনের আগে দেশের ভিতরে কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়েছেন ট্রাম্প। করোনায় প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করছে দেশের একটা বড় অংশ। জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ট্রাম্পকে খানিকটা পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। এই পরিস্থিতিতে জাতীয়তাবাদের রাস্তায় হেঁটে মানুষের সমর্থন নিজের দিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ সেখান থেকেই।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, জাতিসঙ্ঘের সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে গেল ট্রাম্পের জন্য। কারণ, দেশের মানুষের কাছে বার্তা গেল, সর্বশক্তিমান আমেরিকার দাবি অন্য সমস্ত দেশ খারিজ করে দিয়েছে। বিশেষ করে তার বন্ধু দেশগুলোও আমেরিকার পাশে দাঁড়ায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com