সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হলো এস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার শেষ ধাপের ট্রায়াল

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২১৪ বার

বৃটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের যৌথভাবে তৈরি করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সম্ভাব্য টিকার শেষ ধাপের ট্রায়াল শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ৩০ হাজার অংশগ্রহণকারীর ওপর এই ট্রায়াল চালানো হবে। অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে চার সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ করে টিকা বা একটি প্লাসেবো দেওয়া হবে। স্থানীয় সময় সোমবার এক ঘোষণায় এমনটা জানিয়েছে এস্ট্রাজেনেকা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, এস্ট্রাজেনেকার পরীক্ষামূলক টিকাটির নাম এজেডডি১২২২। মার্কিন সরকারের অপারেশন ওয়ার্প স্পিড কর্মসূচির আওতায় সেখানে টিকাটির শেষ ধাপের ট্রায়ালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনার টিকা তৈরি, উৎপাদন ও বণ্টন দ্রুত করতে অপারেশন ওয়ার্প স্পিড চালু করেছে মার্কিন সরকার।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই করোনা ভাইরাসের টিকা পেতে পারেন মার্কিনিরা। যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, আগামী বছরের আগে কোনো কার্যকরী টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
এস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, আগামী অক্টোবরে শেষ ধাপের ট্রায়ালের উপাত্ত পেতে পারে তারা।

একইকথা জানিয়েছে, পিফাইজার ইনকরপোরেশন ও বায়নটেক এসই। তেমনটা হলে উপাত্তের বিশ্লেষণ শেষে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে বৃটেন, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় এজেডডি১২২২ নামের টিকাটির শেষ ধাপের ট্রায়াল চলছে। এর পাশাপাশি জাপান ও রাশিয়ায়ও টিকাটির ট্রায়াল চালুর কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০ হাজার অংশগ্রহণকারীর ওপর টিকাটির ট্রায়াল পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে এস্ট্রাজেনেকার।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটস অব হেলথ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শেষ ধাপের ট্রায়ালে দেখা হবে, টিকাটি করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পারে কিনা বা রোগটি গুরুতর হওয়া রুখতে পারে কিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com