শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ন

মাধ্যমিকে লটারিতে শিক্ষার্থী ভর্তি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২০
  • ২১৮ বার

করোনার কারণে আগামী শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরে লটারির মাধ্যমেই শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদিও বিগত দিনে প্রথম শ্রেণী ছাড়া অন্যান্য শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। তবে এ বছর করোনার ঝুঁকি এড়াতে পরীক্ষাপদ্ধতি বাদ দিয়ে লটারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষামন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত জানাবেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নতুন শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাবেন।
করোনার কারণে এ বছর ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীতে শূন্য আসনের বিপরীতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই এবং ভর্তি করতে নীতিমালা সংশোধন করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে এ নীতিমালা জারি করা হতে পারে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে ৬৮৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে শুধু রাজধানীতে আছে ৪২টি। বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ১৯ হাজার ৪২১টি। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৭৭৫টি এমপিওভুক্ত, বাকি দুই হাজার ৬৪৬টি নন-এমপিও প্রতিষ্ঠান।

সূত্র আরো জানায়, লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত হলেও লটারির সময়ে কোনো অভিভাবক স্কুলে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। একটি কমিটি এই লটারি পরিচালনা করবেন। নীতিমালায় স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে যে, লটারির এ আয়োজনে অভিভাবকদের উপস্থিত থাকতে দেয়া হবে না। একটি ভর্তি কমিটি গঠন করে লটারির কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, প্রতি বছর প্রথম শ্রেণীর ভর্তিতে লটারি এবং দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে নতুন শিক্ষাবর্ষে (২০২১ সালে) ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে লটারির মাধ্যমে সব ক্লাসে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির ফরম বিক্রি করা হবে। এরপর তা যাচাই-বাছাই করে লটারির জন্য নির্বাচন করবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। একাধিক ধাপে লটারির আয়োজন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। লটারির ফলাফল নিজ নিজ বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। লটারির এ কার্যক্রমে যেন জনসমাগম না হয়, সে জন্য ভর্তিপ্রক্রিয়ার সব কার্যক্রমে অভিভাবকদের প্রবেশের সুযোগ থাকবে না। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক ও কয়েকজন অভিভাবক নিয়ে একটি ভর্তি কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।

সূত্র আরো জানায়, সন্তানের ভর্তি লটারিতে অভিভাবকদের উপস্থিত হওয়ার সুযোগ না পেলেও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে ভর্তির জন্য আবেদনকারী অভিভাবকদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে পাঁচ থেকে সাতজনকে নির্বাচন করা হবে। তাদের অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে ভর্তি কমিটিতে যুক্ত করা হতে পারে। এ ছাড়া ভর্তি নীতিমালায় নতুন কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না।

নতুন এই লটারির প্রক্রিয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মমিনুল রশিদ জানান, মূলত করোনার কারণেই এ বছর শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়ার পরিবর্তে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এ জন্য নতুন নীতিমালাও প্রস্তুত করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে সব স্তরে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। করোনার ঝুঁকি থেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে এ পদ্ধতিকে বেছে নেয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহে ভর্তি নীতিমালা জারি করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com