আমেরিকার ফাইজার এবং জার্মানির বায়োএনটেক মিলে করোনা ভাইরাসের যে প্রতিষেধক তৈরি করেছে তা মঙ্গলবার থেকে ব্রিটেনের হাসপাতালগুলোতে পৌঁছানো হবে।
অশীতিপর ব্যক্তি, স্বাস্থ্যকর্মী এবং বাড়িতে রোগীদের দেখভাল করেন যারা, শুরুতে তাদেরই প্রথমে এই টিকা দেয়া হবে।
তারপর বিভিন্ন প্রান্তের ক্লিনিকগুলোতে প্রতিষেধক বিতরণ করা হবে, যাতে প্রয়োজন বুঝে সাধারণ মানুষের উপর তা প্রয়োগ করা যায়। তবে টিকা প্রয়োগ শুরু হতে চললেও, করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে তাদের প্রতিষেধক কতটা কার্যকরী, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বোরলা।
ব্রিটেনে এখন পর্যন্ত ১৭ লাখ ১০ হাজার ৩৭৯ জন কোভিড-১৯ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। করোনার প্রকোপে সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৬১ হাজার ১১১ জন রোগী। এই মুহূর্তে সেখানে দৈনিক সংক্রমণ ১৫ হাজারের কোটায় ঘোরাফেরা করছে। এমন পরিস্থিতিতে সামনে থেকে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছেন যারা, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য। তাই জরুরি পরিস্থিতিতে ফাইজারের তৈরি প্রতিষেধক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
জরুরি ভিত্তিতে ফাইজারের প্রতিষেধক প্রয়োগে গত সপ্তাহেই ছাড়পত্র দেয় ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ঠিক হয়, ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) তত্ত্বাবধানে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে। করোনার প্রতিষেধক নিয়ে বিশ্বে যখন প্রতিযোগিতা চলছে, সে সময় ব্রিটেনই প্রথম দেশ, যারা জরুরি ভিত্তিতে টিকা দেয়া শুরু করে দিল। প্রথম সপ্তাহেই ব্রিটেনে ৮ লাখ ডোজ টিকা পৌঁছে যাবে বলে জানা গেছে।