ময়মনিসংহের ঈশ্বরগঞ্জে শুক্রবার সকাল থেকেই বৃহস্পতিবারের চেয়ে বাড়তি পেঁয়াজের দাম। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের পেঁয়াজই কেজিতে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দেশি পেঁয়াজের কেজি ১৪০ টাকায় উঠেছিল। সেটাই ছিল এযাবৎকালের সর্বোচ্চ দর। বর্তমানে সেই রেকর্ট ভেঙ্গে এখন তা ২৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পৌর সদরের কাঁচাবাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা গৃহিণী জেসমিন সুলতানা বলেন, সকালে পেঁয়াজ কিনতে বের হয়েছিলেন। দুই দোকান থেকে ফেরত আসতে হয়েছে। পেঁয়াজ নেই। পরে একটি দোকানে গিয়ে পেঁয়াজ পেয়েছি। ২৫০ টাকা কেজিতে ১ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন। দোকানি তাকে জানান, আগে কিনে রেখেছিলেন বলে এই দামে পেয়েছেন।
আরেক ক্রেতা মনিরা বলেন, ‘মা পিয়াজ কিনতে পাঠাইছিলেন। আড়াই শ টাকা কেজি শুইনা ফিরে যাচ্ছি।’
পেঁয়াজের আকাশচুম্বী দামের কারণে নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষ ব্যাপক চাপে পড়েছে। সকালে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর কাঁচাবাজারে ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজের দাম শুনে মলিন মুখ করে চলে যাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। অনেককে হাফ কেজি করে পেঁয়াজ কিনে ফিরে যেতে দেখা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের জোগান নেই, প্রতি কেজি পেয়াজ ২৩০টাকা ধরে তাদেরই পাইকারী কিনতে হয়েছে তাও ব্যববসায়ীরা পাচ্ছেন না। তারা জানান, দাম বেশি বলে বাজারে ক্রেতাও কম।
ক্রেতারা অভিযোগ করছেন পেয়াজের দাম প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কোন নজর নেই। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে রুমানা তুয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি দেখছি কি করা যায়।