শ্রীলংকায় গতকাল শনিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত মাস আগে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর এ নির্বাচন বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ওই হামলায় ২৫০ জন নিহত হন। এ পরিস্থিতিতে শ্রীলংকার হাল কার হাতে যাচ্ছে সে দিকে দৃষ্টি সংশ্লিষ্টদের। বিবিসি ও আল জাজিরা।
এ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ৩৫ জন প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন। ২০০৯ সালে শ্রীলংকায় গৃহযুদ্ধের অবসানের পর এটি তৃতীয় নির্বাচন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা নির্বাচনে লড়ছেন না। প্রার্থী সংখ্যা বেশি থাকায় ভোটারদের দুফুট লম্বা ব্যালট পেপার সরাববরাহ করা হয়েছে বলে দেশটির নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং বিরতিহীনভাবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। প্রায় ১৫.৯ মিলিয়ন বৈধ ভোটারের জন্য ১২ হাজার ৮৪৫টি নির্বাচনী বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
প্রার্থী তালিকা লম্বা হলেও মূলত চোখ থাকছে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর ওপরÑ তাদের একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের ভাই গোতাবায়া রাজাপক্ষে আর অপরজন বলেন ১৯৯৩ সালে তামিল গেরিলাদের হামলায় নিহত প্রেসিডেন্ট রানাসিংয়ে প্রেমাদাসার ছেলে সুজিত প্রেমাদাসা। ভাই রাজাপক্ষের শাসনামলে গোতাবায়া প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিরুদ্ধে তামিল গেরিলাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে সুজিতের নির্বাচনী প্রচারে গুরুত্ব পেয়েছে গৃহায়ণ, দারিদ্র্য দূরিকরণসহ নানা সামাজিক ইস্যু।
সাত মাস আগে ইস্টার সানডেতে সন্ত্রাসী হামলার পর ভোটারদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রচারে তার দুশ্চিন্তা দেখা গেছে। নির্বাচনে জয়ী হলে তামিল গেরিলাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকালীন সেনাপ্রধান শরৎ ফনসেকাকে জাতীয় নিরাপত্তার প্রধান দায়িত্ব দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, এই মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীনের সম্পর্কও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। সাধারণত সুজিতকে ভারত ও মার্কিনঘেঁষা রাজনীতিক হিসেবে মনে করা হয় অন্যদিকে গোতাবায়া রাজাপক্ষে নির্বাচনী প্রচারে বলেই দিয়েছেন তিনি নির্বাচিত হলেÑ চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবেন।
জানা গেছে, কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে তিনি বড় জয় পাবেন। তবে তেমন কিছু না হলে ভোটারদের পছন্দের ক্রম বিবেচনায় নেওয়া হবে।