দেশের গণতন্ত্র এগিয়ে নিতে বিএনপি কৃত্রিম বাধা তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপিই দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি শুরু করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। আজ শনিবার দুপুরে সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এমন কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ইচ্ছেমতো রচনা করছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মীমাংসিত বিষয় প্রশ্নবিদ্ধ করার অধিকার কারও নেই। নতুন প্রজন্ম এখন সত্যিকারের ইতিহাস জানতে পারছে। বিএনপিই এ দেশে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির জনক।’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘদিন ধরে তাদের (বিএনপির) নেতৃত্বে স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী অপশক্তি ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়েছে। কারা মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ককে সপরিবারে হত্যার বেনিফিশিয়ারি, কারা এ দেশে খুনিদের বিচার চাওয়ার অধিকার হরণ করেছিল, তা নতুন প্রজন্ম জানতে পারছে বলে বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে বিএনপিই কৃত্রিম বাধা তৈরি করছে। বিএনপি একদিকে নির্বাচন বিমুখ রাজনীতি, অপরদিকে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখায় দেশের গণতন্ত্র বারবার হোঁচট খাচ্ছে।’
ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে নৌকায় ভোট না দিলে এলাকা ছাড়তে হবে বলে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃকের দেওয়া বক্তব্যের অডিও ও ভিডিও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ নিয়ে প্রকৃত তথ্য জানতে তার (মাহমুদা বেগম কৃক) সঙ্গে কথা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো অরাজনৈতিক বক্তব্য যদি সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে। যার যার খুশিমতো বক্তব্য কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেবে না আওয়ামী লীগ।’
আগামীকাল রোববার সারা দেশে চতুর্থ ধাপের ৫৪টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও পৌরসভাও রয়েছে। এ পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারে যান সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক। গত বৃহস্পতিবার শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে এক নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, ‘যাদের মনে ধানের শীষের সঙ্গে প্রেম আছে, তারা কী করবেন? ১৩ তারিখে ঠাকুরগাঁও ছেড়ে চলে যাবেন। ১৩ তারিখ সন্ধ্যার পরে তাদের দেখতে চাই না। তাদের ভোটকেন্দ্রে আসার কোনো প্রয়োজন নাই। তাহলে ভোটকেন্দ্রে যাবে শুধু কে? নৌকা, নৌকা আর নৌকা।’