সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে এ সংকটের একটি রজিনৈতিক সমাধান প্রয়োজন।
আজ নগরীর একটি হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এর একটি রাজনৈতিক সমাধান হওয়া উচিত।’
সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে তাদের নিজ দেশে অবাধ ও নিরাপদে ফিরে যেতে পারে তার জন্য মিয়ানমার সরকারের আরো উদার ও সহানুভূতিশীল হওয়া আবশ্যক।
এগারো লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার এককভাবে এ কাজটি করতে পারবে না। এ কারণে, আমি রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘ সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সহযোগিতা কামনা করছি।’
এ বছর বাংলাদেশের তার শেষ সফরকালে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘এটা একটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক অবস্থা। পরিস্থিতি বর্ণনা করা কঠিন (রোহিঙ্গাদের ভোগান্তি), যা আমার কাছে খুবই দুঃখজনক মনে হয়েছে।’
বান কি মুন জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) বাস্তবায়ন, নারী ও যুবকদের ক্ষমতায়নসহ সকল বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ও ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন কার্যক্রমে যথেষ্ট ভাল করছে উল্লেখ করে সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, জলবায়ু অভিযোজনে গোটা বিশ্বে বাংলাদেশের সাফল্যের ইতিহাস রয়েছে।
আজ আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম সমাবর্তনে যোগদানের জন্য বান কি মুন ঢাকায় আসেন। আজ রাতেই তার ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।