ভারতে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার মাঝেও বেশ ঘটা করে আয়োজন করা হয়ে আইপিএলের ১৪তম। কিন্তু তা আর শেষ করতে পারেনি আয়োজকরা। মাঝ পথে এসে বিভিন্ন দলে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় স্থগিত হয়েছে এবারের আসর। টুর্নামেন্টের ৬০ ম্যাচের এখনো ৩১ ম্যাচ বাকি। কোনো কারণে শেষ করতে না পারলে বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। যার কারণেই এ বছরের শেষের দিকে যেকোনো মূল্যেই শেষ করার চিন্তা করছে তারা।
বর্তমানে ভারতের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। দেশটিতে প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বিশ্বের সব রেকর্ডকেই ছাড়িয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতি ঠিক কবে নাগাদ ঠিক হবে তা বলা যায় না। ফলে ভারতে মাটিতে কোনোভাবেই আয়োজনের সম্ভাবনা দেখছেন না বিশ্লেষকরা। যদি ভারতে সম্ভব না হয়, তাহলে তিন দেশের মধ্যে যেকোনো একটিতে আয়োজনের কথা ভাবছে বিসিসিআই। সম্ভাব্য ওই তিন দেশের মধ্যে রয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
ভারতীয় গণমাধ্যম টাইম অব ইন্ডিয়াকে বোর্ডের এক উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানিয়েছে, ‘এটা (আইপিএল) বাইরেই আয়োজন করতে হবে। এরই মধ্যে এ নিয়ে কিছু পরামর্শ পাওয়া গেছে। বিসিসিআইকে এখন মনস্থির করতে হবে।’
প্রথম পরামর্শটি হলো, আইপিএলের বাকি অংশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থানান্তর করা। দ্বিতীয়টি ইংল্যান্ড এবং তৃতীয়টি অস্ট্রেলিয়া। তবে অস্ট্রেলিয়া সরকারের নমনীয়তা ছাড়া সেখানে কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছে আয়োজকরা।
সংযু্ক্ত আরব আমিরাতে আশা দেখছে বোর্ড। কেননা, গত বছর কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই দেশটিতে সফলভাবে আয়োজিত হয়েছে আইপিএলের ১৩তম আসর। মরুদেশটিতে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে আইপিএল হলে খেলোয়াড়েরা সপ্তাহখানেকের কোয়ারেন্টিন শেষ করে বাকি ৩১ ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও সেরে নিতে পারবেন। ২২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
তবে বিসিসিআই সূত্র মতে, ‘বিশ্বকাপের ভেন্যু ভারত থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে গোটা সূচি ওলট-পালট করতে হবে। আরব আমিরাতে সেপ্টেম্বরে আবহাওয়া খুব গরম। অক্টোবরের দিকে সহনীয় হয় কিছুটা।’