ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ষষ্ঠবারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতলেন লিওনেল মেসি। ভার্জিল ভ্যান ডাইক, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের টপকে আবারো ফরাসি ফুটবল ম্যাগাজিনের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হলেন তিনি। ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত টানা চারবার জেতার পর ২০১৫-তে এসে নিজের ৫ম বর্ষসেরার খেতাব জিতেছিলেন ‘লা পুলগা’। ৪ বছর বাদে আবারো পেলেন ব্যালন ডি’অর।
এর আগে ইউরোপের বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। তবে মেসি ভ্যান ডাইককে টপকে পরে হয়েছেন ফিফার বর্ষসেরা। ব্যালন ডি’অর নিয়ে তাই সংশয় ছিল, শেষ পর্যন্ত আর ভ্যান ডাইক নন, ব্যালন ডি’অর জিতেছেন মেসিই। গত মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে লা লিগা জিতেছিলেন মেসি। সেমিতে বাদ পড়লেও চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন আর্জেন্টাইন। গত মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতাও ছিলেন তিনি।
মেসি আরো একবার ব্যালন ডি’অর জেতায় রোনালদো-মেসির ধারায় আবার ফেরত গেল এই পুরস্কার। গতবার ১০ বছর পর মেই-রোনালদোর ধারা ভেঙে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন লুকা মদ্রিচ। মেসি এবার পুরস্কার নিয়েছেন তার হাত থেকেই। আর ছয়বার এই পুরস্কার জিতে মেসি ছাড়িয়ে গেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকেও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটা ছড়িয়ে গিয়েছিল আগেই। ভার্জিল ভ্যান ডাইক, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের ফেলে নিজের ৬ষ্ঠ ব্যালন ডি’অর জিতেছেন লিওনেল মেসি। শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়েছে সেটাই। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের থিয়েটার দে শ্যালেতে আবারও ফুটবল ইতিহাসের সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন মেসি, ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠবারের মত হলেন ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার।
৪৪৬ ভোট নিয়ে জিতেছেন মেসি, দ্বিতীয় হওয়া ভ্যান ডাইকের ভোটসংখ্যা ৩৮২- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ছবিই হয়েছে সত্যি। তিন-এ থাকা মোহামেদ সালাহ পেয়েছেন ১৭৯ ভোট। শীর্ষ তিন-এ প্রথমবারের মত জায়গা হয়নি রোনালদোর, চার-এ আছেন তিনি। ইউয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলারের অনুষ্ঠানে গেলেও ফিফা ‘দ্য বেস্ট’-এর পর এবার ব্যালন ডি’অরেও অনুপস্থিত থাকলেন ‘সিআর৭’।
২০১৯ ব্যালন ডি’অরের শীর্ষ দশ
১. লিওনেল মেসি
২. ভার্জিল ভ্যান ডাইক
৩. ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
৪. সাদিও মানে
৫. মোহামেদ সালাহ
৬. কিলিয়ান এম্বাপ্পে
৭. অ্যালিসন বেকার
৮. রবার্ট লেভানডফস্কি
৯. বের্নার্দো সিলভা
১০. রিয়াদ মাহরেজ
প্যারিসে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন সাবেক চেলসি স্ট্রাইকার দিদিয়ের দ্রগবা। ব্যালন ডি’অর ছাড়াও কোপা ট্রফির পুরস্কারও দিয়েছে ফ্রান্স ফুটবল। গতবার এই খেতাব জেতা কিলিয়ান এম্বাপ্পে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন এবারের বিজয়ী নেদারল্যান্ডস এবং জুভেন্টাস ডিফেন্ডার মাথিয়াস ডি লিটকে।
একমাত্র গোলরক্ষক হিসেবে ১৯৬৩ সালে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন লেভ ইয়াসিন। তার সম্মানে এই বছর থেকে লেভ ইয়াসিন পুরস্কারও দিয়েছে ফ্রান্স ফুটবল। ম্যানুয়েল নয়্যার, মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান, হুগো লরিসদের টপকে লেভ ইয়াসিন শিরোপা জিতেছেন লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার।
ফিফা ‘দ্য বেস্ট’-এর পর এবার মেয়েদের ফুটবলের ব্যালন ডি’অর জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্র নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক মেগান রাপিনো।
সূত্র : প্যাভিলিয়ন