করোনাভাইরাসের টিকার তৃতীয় ডোজ প্রয়োগের অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন সংস্থা (এফডিএ)। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এই অনুমোদন দেয়া হয়। এর ফলে ফাইজার ও বায়োএনটেক এবং মডার্নার তৈরি টিকার তৃতীয় ডোজ দেয়া হবে। তবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল তাদের শুধু এই ডোজ দেয়া হবে। শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার দায়িত্বশীল একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, যাঁদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা দুর্বল, তাদের জন্য করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজের অনুমোদন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এফডিএ এই ঘোষণা দিতে পারে। সেই ৪৮ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই তৃতীয় ডোজ অনুমোদন পেল।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকেরা বলছিলেন, দিন দিন এটা পরিষ্কার হচ্ছে, টিকা নেয়ার পরো অনেকে এখনো ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, করোনার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে তাদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠেনি।
এনবিসির খবরে বলা হয়েছে, সিডিসির তথ্যসূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ২ দশমিক ৭ শতাংশ টিকা গ্রহীতার করোনা প্রতিরোধব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে বা নষ্ট হয়ে গেছে। তবে এটা ঠিক পরিষ্কার নয়, কারা পাবেন এই তৃতীয় ডোজ। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে যাদের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, যারা ক্যানসারে আক্রান্ত এবং যাঁরা এইডসে আক্রান্ত, তাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম।
এ ছাড়া টিকার তৃতীয় ডোজ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে গবেষণা চালিয়ে আসছে ফাইজার। গত জুলাইয়ে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ফাইজার বায়োএনটেকের টিকার তৃতীয় ডোজ করোনার মূল ভেরিয়েন্ট, বেটা ভেরিয়েন্ট ও দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি করছে। করোনার টিকার দুই ডোজ দিলে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তার চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তৃতীয় ডোজে।
সেই সময় ফাইজার ও বায়োএনটেকের পক্ষ থেকে এও বলা হয়, টিকার দুই ডোজ নেয়ার পর ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয় ডোজ নেয়ার প্রয়োজন হবে। এর কারণ হিসেবে তারা বলেছে, টিকার দুই ডোজ বা পূর্ণাঙ্গ টিকা নেওয়ার পর ছয় মাস পর্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের সুরক্ষা পাওয়া যায়। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টিকার কার্যক্ষমতা কমতে থাকে।