গত এক যুগে বার্সেলোনার সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন ছিলেন লিওনেল মেসি। এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের পায়ের জাদু দেখতে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমতো স্টেডিয়ামে। অথচ সেই মেসিকেই ধরে রাখতে পারেনি কাতালানরা। মেসি চলে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে বার্সেলোনায়। জার্সি বিক্রি কমার পর এবার টিকিট বিক্রিতেও ধস নেমেছে। স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার আগ্রহ হারাচ্ছে কাতালান সমার্থকরা।
করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে গত বছর দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে লা লিগা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। এক বছর পর মাঠে দর্শক ফেরাতে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং লিগ কমিটিগুলো। সেই হিসেবে নতুন মৌসুমে স্টেডিয়ামের এক-তৃতীয়াংশেরও কম সিটে দর্শক ঢুকার অনুমতি দেওয়া হয়।
ন্যু ক্যাম্পে ধারণ ক্ষমতার এক-তৃতীয়াংশেরও কম (প্রায় ৩০ হাজার) দর্শক মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও মেসি চলে যাওয়ায় এর উপর প্রভাব পড়েছে। আগামীকাল রোববার লিগের প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সা। সেই ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু করেও তেমন সাড়া পাচ্ছে না কাতালানরা।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম দিয়ারো এএস জানাচ্ছে, রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ম্যাচটিতে জন্য ২৯ হাজার ৮০৩টি টিকিট বিক্রি করতে পারবে বার্সেলোনা। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত এ ম্যাচটি দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মাত্র ১৫ হাজার ৮২০ জন। এখনও প্রায় ১৪ হাজার টিকিট অবিক্রিত রয়ে গেছে তাদের। গণমাধ্যমটির মতে, মেসি চলে যাওয়াতেই এমন প্রভাব পড়েছে।
তবে বার্সা ছাড়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই নতুন ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) যোগ দিয়েছেন মেসি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের আগমনের পর থেকে ফ্রান্সজুড়ে উৎসব চলছে। মেসিকে বরণ করে নেওয়ার পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তার সাড়ে ৮ লাখ জার্সি বিক্রি করেছে ফরাসি জায়ান্টরা। ইতোমধ্যে লিগ শুরু হয়েছে। মেসি মাঠে নামার দিন স্টেডিয়ামে টিকিট পাওয়া নিয়েও শঙ্কা রয়েছে দর্শকদের মনে।