দেশের ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ভোট নেওয়া হচ্ছে ৯টি পৌরসভাতেও। তবে এর মধ্যে ৪৪টি ইউপির চেয়ারম্যান পদে এবং তিন পৌরসভার মেয়র পদে একজন করে প্রার্থী হওয়ায় তারা বিজয়ী হয়েছেন। এসব জায়গায় চেয়ারম্যান ও মেয়র পদ বাদে অন্য পদগুলোতে ভোট নেওয়া হচ্ছে।
আজ সোমবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্বাচন হচ্ছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পর কোথাও তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
ইসি জানিয়েছে, ১৬০ ইউপির মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ৪৪ জন। চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী ৫০০ জন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রার্থী এক হাজার ৯৬৫ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে প্রার্থী ৬ হাজার ৩৩৩ জন। এদিকে ৯ পৌরসভার মধ্যে তিনটিতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া বাকি পৌরসভায় মেয়র পদের লড়াইয়ে আছেন ২৭ জন।
এবারের ইউপি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী না দিলেও মাঠে আছেন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা। যদিও বিএনপির কিছু প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াইয়ে আছেন।
নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছে ইসি।
তফসিল অনুযায়ী, সোমবার ১৬১টি ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও আদালতের আদেশে মোড়লগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউপি নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ৯টি পৌরসভা এবং দুটি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদেও ভোট হচ্ছে আজ।
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল দেশে প্রথম ধাপে ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় ১ এপ্রিল তা স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে গত ২১ জুন ২০৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়। তখন ১৬৭ ইউপির নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়। এর মধ্যে প্রার্থী মারা যাওয়ায় পাঁচটি ইউপি এবং মামলাজনিত কারণে একটি এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে আপাতত ভোট হচ্ছে না। সে হিসেবে খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ১৬০ ইউপি এবং ৯টি পৌরসভায় ভোট হচ্ছে সোমবার।