গত ১০ দিনে মিয়ানমারে অন্তত ৯০ জন জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন। বেসামরিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে পৃথক সংঘর্ষে দেশটির স্যাগাইন, মাগে অঞ্চল এবং কায়াহ প্রদেশে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই ও রেডিও ফ্রি এশিয়াতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তাবিরোধী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের গ্রুপ পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে এএনআই ও রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, গত সোমবার মান্দালাই শহরের ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ইরাবতী নদীর তীরে অবস্থিত স্যাগাইন অঞ্চলে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অভিযান শুরু করে। এ সময় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩০ জন বার্মিজ সেনা নিহত হয়েছেন।
এর আগে ১১ অক্টোবর মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ১০ অক্টোবর স্যাগাইনে প্রায় ছয় জন জান্তা সেনা নিহত হন। পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) মোটরসাইকেল ও এক্সপ্রেস বাসে ঘুরতে থাকা জান্তা সেনাদের ওপর হামলা করলে এই ছয় সেনা নিহত হন। পিডিএফ জানিয়েছে, জান্তা সেনাদের বহনকারী এক্সপ্রেস বাসটি মাইন বিস্ফোরণে উল্টে যায়। এছাড়া একটি পুলিশের গাড়িতে হামলা করলে আরও ১২ জন জান্তা সেনা নিহত হন।
এদিকে, ১০ অক্টোবর সকালে স্যাগাইনের টাজ টাউনশিপ এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী একদল জান্তা সেনার ওপর হামলা চালায় তাজ পিপল কমরেডস (টিপিসি)। এতে দুইজন জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
এছাড়া, ম্যাগওয়ে অঞ্চলের ইয়েসাগিও টাউনশিপ থেকে স্যাগাইন অঞ্চলের মিয়াং টাউনশিপে সেনা বহনকারী গাড়িতে স্থলমাইন হামলা চালায় পিডিএফ। এ হামলায় হতাহতের সংখ্যা জানা যায়নি। তবে মাগে অঞ্চলে ইয়াও ডিফেন্স ফোর্সের (ওয়াইডিএফ) সঙ্গে ১১ ঘণ্টার লড়াইয়ে ২০ জন জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন বলে ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত এবং ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে মিয়ানমারে অস্থিতিশীলতা চলছে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে তীব্র গণ-আন্দোলন শুরু হয় এবং সামরিক ক্ষমতার জোরেই বার্মিজ সেনাবাহিনী তা দমনের চেষ্টা করে।