মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় শাহ আমানত ফেরি ডুবির ঘটনায় ১২ ঘণ্টা পর আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। ফেরিটি তীরে তুলতে কাজ করছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর পন্টুনে এই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এই অভিযানে দুপুরের দিকে ‘প্রত্যয়’ নামের একটি জাহাজ যোগ দেবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) শরিফুল ইসলাম জানান, বুধবার উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা। বৃহস্পতিবার আবার অভিযান শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জ থেকে প্রত্যয় নামে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ পাটুরিয়া ঘাটে আসছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুপুরের মধ্যেই প্রত্যয় উদ্ধার কাজে অংশ নেবে।
জানা গেছে, ফেরিডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে পাঁচটি ট্রাক। ট্রাকগুলো ফেরির নিচে বা আশপাশে চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া পাঁচটি ট্রাক পদ্মা নদীর বিভিন্ন এলাকায় শনাক্ত করে গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার পাঁচ নম্বর ঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে পণ্যবাহী ট্রাকসহ রো রো ফেরি আমানত শাহ কাত হয়ে ডুবে যায়। ফেরিতে থাকা ১৭টি ট্রাকের মধ্যে দুটি কাভার্ড ভ্যান পন্টুনে নামতে সক্ষম হলেও বাকি ট্রাকগুলো ফেরির সঙ্গে পানিতে ডুবে যায়। ফেরিতে ৮-৯টি মোটরসাইকেল ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
দুর্ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ, নৌবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধারকাজে অংশ নেন। তবে গতকাল পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বিআইডাব্লিউটিএর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. নূরুল আলম বলেন, ডুবে যাওয়া ফেরির ওজন এক হাজার টনের ওপর। আর উদ্ধারকাজে যাওয়া জাহাজ হামজা ৬০ টন নিতে সক্ষম। এজন্য ফেরিটি উদ্ধার করতে দেরি হচ্ছে। প্রত্যয় নামের যে উদ্ধার জাহাজটি আসছে সেটা ২৫০ টন নিতে সক্ষম। এটি এসে পৌঁছলে ফেরিটি দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
বিআইডাব্লিউটিসির নৌযানের তালিকা অনুযায়ী, আমানত শাহ ১৯৮০ সালে তৈরি। এই ফেরি ৩৩৫ যাত্রী ও ২৫টি যান বহন করতে পারে। সর্বোচ্চ ১০.২৫ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে পারে।