বাঁশের আড়ায় ঝুলছিল তামান্না আক্তার হাওয়া নামে এক গৃহবধূর মরদেহ। পাশেই পড়েছিল সুইসাইড নোট। পুলিশের ধারণা, মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তে নিজের শেষ কথাগুলো লিখে যান তিনি। গতকাল সোমবার রাতে নেত্রকোণার দুর্গাপুরের বুরুঙ্গা গ্রাম থেকে এই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাদা কাগজের উপর নীল কালিতে লেখা, ‘আমি নিজের ইচ্ছেতেই মরছি, আমার স্বামীর কোনো অন্যায় নাই। আমি মরলে যেন আমার স্বামী আরেকটা বিয়ে করে। আমি খারাপ মানুষ, তাই মরে যাচ্ছি।’
কাগজটিতে আরও লিখেছিল, ‘আমি মরলে আমার সব জিনিসপত্র আমার বাড়িতে যেন দিয়ে দেওয়া হয়। সবার প্রতি আমার সালাম ‘আসসালামু আলাইকুম’ আমাকে মাফ করে দিও সবাই। ইতি হাওয়া।’
মৃত হাওয়া উপজেলার চন্ডিগড়ের সাতাশি গ্রামের ফজরুল করিমের মেয়ে। গত তিন মাস আগে বুরুঙ্গা গ্রাম আলম মিয়ার ছোট ছেলে হাসান মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তবে মরদেহের সুইসাইড নোট পেলেও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলে জানান পুলিশ।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক আনিসুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা মরদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট পেয়েছি। ইতোমধ্যে এই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে চেষ্টা চলছে।’