ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মাঠে গড়ালো মাত্র ৩৮ বল। আলো স্বল্পতা ও বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন। দ্বিতীয় সেশনে খেলা শুরু হলে ৩৮ বল লড়াইয়ের পর আবারো বৃষ্টিতে দ্বিতীয় দিনে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
দিনের শুরুতে একবার বৃষ্টি নামে তো আরেকবার রোদ এরপর আবারো মেঘে ঢেকে যাচ্ছে আকাশ। এভাবেই ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন চলছিল। অবশেষে মাঠে গড়ায় বল। দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হয় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে।
রোববার খেলা হবার কথা ৬৬ ওভার। বলা হয়, ১২টা ৫০ মিনিট থেকে শুরু হওয়া এই সেশনে খেলা হবে ২০ মিনিট। ১টা ১০ মিনিটে শেষ হবে সেশন। বিশ মিনিট বিরতির পর দেড়টায় আবার মাঠে নামবে দুই দল। এরপর চার ঘণ্টা দীর্ঘ এক সেশনে শেষ হবে দিনের খেলা।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথম দিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেটে ১৬১ রান তুলেছিল পাকিস্তান। আজ ৩৮ বল খেলার পর, পাকিস্তানের স্কোর এখন ৬৩ দশমিক ২ ওভারে ২ উইকেটে ১৮৮ রান।
আজহার আলি ৫২ ও অধিনায়ক বাবর আজম ৭১ রানে অপরাজিত আছেন।
আলো স্বল্পতার কারনে টেস্টের প্রথম দিন ৩৩ ওভার খেলা হয়নি। প্রথম দিন দুই ওপেনার আবিদ আলি ৩৯ ও আব্দুল্লাহ শফিক ২৫ রান করে আউট হয়। পাকিস্তানের পতন হওয়া দু’টি উইকেটই নেন বাংলাদেশের বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
এ ম্যাচে পাকিস্তান জয় পেলে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হবে বাংলাদেশ।
প্রথম টেস্টে ৪৪ রানের লিড পেয়েও ৮ উইকেটে ম্যাচ হারতে হয় বাংলাদেশকে।
চট্টগ্রামে ম্যাচের প্রথম ইনিংস টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান লিটন দাস। মুশফিকুর রহিম করেন ৯১ রান। দু’জনের ব্যাটিংয়ের সাথে বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ১১৬ রানের বিনিময়ে সাত উইকেট শিকার করেন। কিন্তু প্রথম ইনিংসে তাদের ব্যক্তিগত পারফরমেন্স দলের কোনো উপকারে আসেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যটাররা ব্যর্থ হওয়ায় সহজ জয় পায় পাকিস্তান।
প্রথম ইনিংসে লিড পেলেও ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি ছিল বাংলাদেশের। মুশফিক-লিটন ও তাইজুল ছাড়া স্বাগতিক দলের ব্যাটিং-বোলিংয়ে ঘাটতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
মোমিনুল জানান, বাংলাদেশ যদি সবকিছু ঠিকঠাক করতে না পারে, তাহলে টেস্ট সিরিজে তাদের কামব্যাক করার কোনো উপায় নেই।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। সবগুলোই জিতেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে ১টি টেস্ট ড্র হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে দ্বিপাক্ষীক সিরিজে একটি টেস্ট ড্র হয়েছিল।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১২২টি টেস্ট খেলেছে, জিতেছে ১৪টিতে, হেরেছে ৯২টিতে। এর মধ্যে ৪৩টি ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হারে। বাকি ১৬ টেস্ট ড্র করেছে।